বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুন ২৬, ২০২৫, ১১:১৭ এএম

হেভিওয়েট প্রার্থীদের মুখোমুখি এনসিপির শীর্ষ নেতারা

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুন ২৬, ২০২৫, ১১:১৭ এএম

জাতীয় নাগরিক পার্টির শীর্ষ নেতারা। ছবি- সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির শীর্ষ নেতারা। ছবি- সংগৃহীত

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নবগঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর শীর্ষ নেতাদের পড়তে হচ্ছে এক কঠিন বাস্তবতার মুখে। কারণ, তাদের অধিকাংশ নির্বাচনি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর হেভিওয়েট ও জনপ্রিয় প্রার্থীদের বিরুদ্ধে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, গণ-অভ্যুত্থানের আবেগ ভোটে রূপ নিতে ব্যর্থ হলে এনসিপির জন্য নির্বাচনের ফলাফল ভয়াবহ হতে পারে।

এনসিপির শীর্ষ দশ নেতার নাম ইতোমধ্যেই জানা গেছে। তারা হলেন: নাহিদ ইসলাম, আখতার হোসেন, সামান্তা শারমিন, আরিফুল ইসলাম আদীব, সারোয়ার তুষার, ডা. তাসনিম জারা, সারজিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহ, নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ও আবদুল হান্নান মাসউদ। 

এদের সবাইকে কঠিন লড়াই করতে হবে। বিএনপির সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুল মঈন খান, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকারের ছেলে নওশাদ জমির, এমএ কাইয়ুম, মাহদী আমিন, এমদাদুল হক ভরসা, আন্দালিভ রহমান পার্থের মতো হেভিওয়েট প্রার্থীরা যেসব আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, সেগুলোর অনেকগুলোতেই এনসিপির নেতারা প্রতিদ্বন্দ্বী। একইসঙ্গে জামায়াতও প্রভাবশালী প্রার্থীদের মনোনয়ন চূড়ান্ত করেছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কাজী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘নবগঠিত দল হিসেবে এনসিপির জয়ের সম্ভাবনা নির্ভর করবে তারা ভবিষ্যতের রাজনীতিতে কী বার্তা দেয়, তাদের সাংগঠনিক ভিত্তি কতটা শক্তিশালী, এবং আদর্শিক অবস্থান কতটা স্বচ্ছ।’ তার মতে, শুধুমাত্র ফেসবুক স্ট্যাটাস কিংবা সংবাদ সম্মেলন দিয়ে ভোটের রাজনীতি করা সম্ভব নয়।

তিনি আরও বলেন, ‘এনসিপির প্রার্থীরা যদি দুর্নীতিমুক্ত প্রোফাইল বজায় রাখতে না পারে এবং জনগণের মধ্যে আস্থা তৈরি করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে ফলাফল তাদের বিপক্ষে যাবে। জোট গড়লেও সঠিক কৌশল না থাকলে জয় নিশ্চিত নয়।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকা-১১: এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন বিএনপির এমএ কাইয়ুম ও জামায়াতের আতিকুর রহমানের বিরুদ্ধে। রংপুর-৪: আখতার হোসেনকে মোকাবিলা করতে হবে এমদাদুল হক ভরসা ও এটিএম আজম খানের মতো প্রার্থীকে। ভোলা-১: সামান্তা শারমিনের সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী হায়দার আলী লেলিন, গোলাম নবী আলমগীর ও জামায়াতের নজরুল ইসলাম। ঢাকা-১৪: আরিফুল ইসলাম আদীব প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন মাহদী আমিন ও ব্যারিস্টার মীর আহমদের বিরুদ্ধে।

আরও জানা গেছে, নরসিংদী-২: সারোয়ার তুষারের প্রতিদ্বন্দ্বী ড. আব্দুল মঈন খান, জামায়াতের আমজাদ হোসাইন। ঢাকা-১৭: ডা. তাসনিম জারার প্রতিপক্ষ আন্দালিভ পার্থ ও জামায়াতের ডা. খালিদুজ্জামান। পঞ্চগড়-১: সারজিস আলম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ব্যারিস্টার নওশাদ জমির ও জামায়াতের ইকবাল হোসেনের সঙ্গে। কুমিল্লা-৪: হাসনাত আবদুল্লাহর মুখোমুখি মুন্সী পরিবারভিত্তিক বিএনপি নেতারা ও জামায়াতের সাইফুল ইসলাম। চাঁদপুর-৫: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর আসনে শক্ত প্রতিপক্ষ মমিনুল হক, আনোয়ার হোসেন খোকন ও জামায়াতের আবুল হোসাইন। নোয়াখালী-৬: আবদুল হান্নান মাসউদের বিপরীতে ফজলুল হক আজিম, তানভীর উদ্দিন রাজিব এবং জামায়াতের মাহফুজুল হক।’

এনসিপির বেশিরভাগ প্রার্থী এখনও দলীয় মনোনয়নের চূড়ান্ত ঘোষণা না পেলেও মাঠে সক্রিয়ভাবে প্রচারণা শুরু করেছেন। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, প্রচারণার ধরন, প্রার্থীদের গ্রহণযোগ্যতা, সাংগঠনিক জোর এবং জনআস্থা নির্ধারণ করবে তারা কতটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে।

যেহেতু জাতীয় নির্বাচনের তফসিল এখনো ঘোষণা হয়নি, তাই এই মুহূর্তে ভোটের হিসাব-নিকাশের পূর্ণ চিত্র স্পষ্ট নয়। তবে স্পষ্টভাবে বোঝা যাচ্ছে, এনসিপির সামনে চ্যালেঞ্জ অনেক। একদিকে তরুণ প্রজন্মের প্রত্যাশা, অন্যদিকে প্রবল অভিজ্ঞ প্রতিদ্বন্দ্বীদের মোকাবিলা এই দুইয়ের ভারসাম্য রক্ষা করতে পারলেই নতুন এই রাজনৈতিক শক্তি আগামীতে প্রভাব রাখতে পারবে।

Link copied!