জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘ক্ষমতা নয়, জনতাই আমাদের বৈধতা। আর এই বৈধতা আজ চট্টগ্রাম প্রমাণ করেছে। এ সময় তিনি চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় বলে উঠেন, ‘বউত দিন হাইয়্যু, আর ন হাইয়্যু।’
রোববার (২০ জুলাই) রাতে নগরের ২ নম্বর গেট এলাকায় এনসিপির ‘জুলাই পদযাত্রা’ উপলক্ষে আয়োজিত জনসভায় এসব কথা বলেন তিনি।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘চট্টগ্রাম শুধু একটি শহর নয়, এটি ইতিহাস, বিদ্রোহ এবং সংস্কৃতির প্রতীক। এখান থেকেই সূচিত হয়েছিল সিপাহি বিদ্রোহ। এখানেই সূর্য সেন ও প্রীতিলতা দত্ত চৌধুরীর মতো বিপ্লবীরা জন্ম নিয়েছিলেন। ১৯৭১ সালে চট্টগ্রামের কালুরঘাট থেকে জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এই চট্টগ্রামই আমাদের স্বাধীনতার দুয়ার।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘চট্টগ্রামকে নিয়ে চলছে নানা ষড়যন্ত্র। দেশি-বিদেশি অপশক্তির নজর পড়েছে এই গুরুত্বপূর্ণ নগরীর ওপর। আমরা হুঁশিয়ার করে দিতে চাই—চট্টগ্রামের দিকে কেউ চোখ তুলে তাকালে গোটা বাংলাদেশ বিদ্রোহ করবে।’
নাহিদ বলেন, ‘চট্টগ্রাম হলো বাংলাদেশের অর্থনীতির লাইফলাইন, ইসলামের প্রবেশদ্বার এবং একমাত্র কসমোপলিটন শহর। অথচ এই নগরী এখনো নানা অব্যবস্থাপনায় ভুগছে। নাগরিক সমস্যা, ড্রেনেজ ও পরিকল্পনার অভাবে দুর্দশা নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে উঠেছে। আমরা চট্টগ্রামকে নতুন করে সাজাতে চাই, গড়তে চাই নতুন বাংলাদেশের নতুন চট্টগ্রাম।’
এ সময় তিনি চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় বলেন, ‘বউত দিন হাইয়্যু, আর ন হাইয়্যু’—যা শুনে নেতাকর্মীরা উল্লাসে ফেটে পড়েন।
সমাবেশে এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, কেন্দ্রীয় মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরউদ্দিন পাটওয়ারীসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশকে ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গোপালগঞ্জ ও কক্সবাজারে এনসিপির পূর্ববর্তী কর্মসূচিতে অপ্রীতিকর ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রামে পুলিশ ও সোয়াট সদস্য মোতায়েন করা হয়।