জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) ও বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন– এই তিন দলের সমন্বয়ে নির্বাচনি জোট ঘোষণা করা হয়েছে। জোটে থাকার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত নেই গণঅধিকার পরিষদ।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) সংবাদ সম্মেলন করে এই জোটের ঘোষণা দেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
দলগুলোর পক্ষ থেকে এই জোটকে বলা হচ্ছে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অঙ্গীকার রক্ষা ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বিনির্মাণে আগ্রহীদের রাজনৈতিক ও নির্বাচনি ঐক্য’৷
এর আগে গেল মাসের শেষ সপ্তাহে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর বাইরে এনসিপি, এবি পার্টি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন ও গণ অধিকার পরিষদের সমন্বয়ে একটি নির্বাচনি জোটের আলোচনা সামনে আসে।
২৭ নভেম্বর রাজধানীর শাহবাগে শহীদ আবু সাঈদ কনভেনশন সেন্টারে এই জোটের আত্মপ্রকাশ হওয়ার কথা ছিল। এর আগের দিন গভীর রাত পর্যন্ত এনসিপি, এবি পার্টি, গণঅধিকার পরিষদ ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন– এই চার দলের নেতারা ঢাকার বাংলামোটরে রূপায়ণ ট্রেড সেন্টারে বৈঠকে বসেন।
ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতাদের একাংশের উদ্যোগে গঠিত রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম আপ বাংলাদেশকে (ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ) এই জোটে রাখার প্রশ্নে এনসিপির নেতারা তীব্র আপত্তি তোলেন। আর গণঅধিকার পরিষদের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে এই জোটে আসা নিয়ে মতভেদ ছিল। এসব কারণে কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই ওই দিনের বৈঠকটি শেষ হয়। এরপর এই জোট নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়।

