বৃহস্পতিবার, ০১ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৫, ২০২৪, ০৩:৫৫ পিএম

যেভাবে ঘুমাতে নিষেধ করেছেন রাসুল (সা.)

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৫, ২০২৪, ০৩:৫৫ পিএম

যেভাবে ঘুমাতে নিষেধ করেছেন রাসুল (সা.)

ফাইল ছবি

মানুষের সুস্থতার জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম। ইসলামের নির্দেশিত পদ্ধতি ও রাসুল (সা.)-এর সুন্নত মোতাবেক ঘুমও ইবাদত-পুণ্যে পরিণত হয়। ঘুমের জন্য সবচেয়ে উপযোগী সময় হলো রাত। কেননা আল্লাহ তা’আলা রাতকে বিশ্রামের উপযোগী করেই বানিয়েছেন।

নিরাপদ-পরিবশে ঘুমানোর জন্য মহানবী (সা.) তাগিদ দিয়েছেন। বিভিন্ন হাদিসে নির্দেশনা- কোথায় ও কীভাবে ঘুমালে নিরাপদ থাকা যায়। যেগুলো অনুযায়ী আমল করলে বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। পাশাপাশি রাসুল (সা.)-এর সুন্নত আদায়ের সওয়াবও লাভ হয়।

রাতে ঘুমানোর নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। সেগুলো এখানে তুলে ধরা হলো।

রাতের ঘুমে দেরি:

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘কোনো নামাজি ও মুসাফির ছাড়া রাত জাগা যাবে না।’ (তিরমিজি)

অন্য হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রসুলুল্লাহ (স.) এশার নামাজের পর গল্পগুজব ও গভীর রাত পর্যন্ত সময় নষ্ট না করে তাড়াতাড়ি ঘুমানোর তাগিদ দিতেন। (মুসনাদ আবি ইয়ালা ৪৮৭৯)

তবে গুরুত্বপূর্ণ ও কল্যাণজনক কাজে রাত জাগতে নিরুৎসাহিত করা হয়নি। উমর ইবনুল খাত্তাব (রা.) থেকে বর্ণিত রয়েছে, রসুলুল্লাহ (সা.) মুসলমানদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আবু বকরের সঙ্গে রাত জেগে আলাপ করতেন। আমিও তখন তাদের সঙ্গে থাকতাম। (তিরমিজি ২৭৮১)

তাই কোনো গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় কারণে রাত জাগতে মানা নেই। তবে অযথা গল্প-গুজব, অহেতুক নেট ব্রাউজিং ও গুরুত্বহীন কাজে সময় নষ্ট উচিত নয়। বরং তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়া আবশ্যক।

নির্জন বাড়ি-ঘরে ঘুমানো:

অনেক সময় বাড়ি-ঘর নিস্তব্ধ ও নির্জনতায় ছেয়ে থাকে। এসব ঘরে একাকী ঘুমানো উচিত নয়। তাই জনশূন্য ঘরে ঘুমানোর ক্ষেত্রে হাদিসের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, ‘রসুলুল্লাহ (স.) কোনো ঘরে নির্জন রাত যাপন ও একাকী সফর করতে নিষেধ করেছেন।’ (মুসনাদে আহমাদ ৫৬৫০)

 খোলা আকাশের নিচে ঘুমানো:

ঘরের বাইরে ও আকাশের নিচে ঘুমাতে মহানবী (স.) নিষেধ করেছেন। একইভাবে ছাদেও ঘুমানো উচিত নয়। হাদিসে রসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘কেউ যদি রাতে বেষ্টনীবিহীন ছাদে ঘুমায়, তাহলে (কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে) তার ব্যাপারে (আল্লাহর) কোনো দায়িত্ব নেই।’ (আবু দাউদ ৫০৪১)

জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আল্লাহর রসুলুল্লাহ (স.) বলেন, ‘তোমরা রাতে পানাহারের পাত্রগুলো ঢেকে রেখো। ঘরের দরজাগুলো বন্ধ রেখো। আর সন্ধ্যাবেলা বাচ্চাদের ঘরের ভেতর রেখো, কারণ এ সময় জিনেরা ছড়িয়ে পড়ে এবং কোনো কিছুকে দ্রুত পাকড়াও করে। ঘুম যাওয়ার সময় বাতিগুলো নিভিয়ে দাও। কেননা অনেক সময় ছোট ক্ষতিকারক ইঁদুর প্রজ্বলিত সলতেযুক্ত প্রদীপ-বাতি টেনে নিয়ে যায় এবং সব জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে দেয়।’ (বুখারি ৩৩১৬)

আরবি/ এইচএম

Link copied!