হজ ও ওমরার সঙ্গে সম্পৃক্ত এক বিশেষ আমল হলো তালবিয়া। ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক...’ - এই বাক্যকে তালবিয়া বলা হয়। তালবিয়া পাঠের মধ্য দিয়েই হজ ও ওমরায় প্রবেশের ঘোষণা দেয়া হয়। তালবিয়া পাঠ আল্লাহ তায়ালার তাওহিদ বা একত্ববাদ চর্চার দৃশ্যমান ইবাদত ও আমল।
তালবিয়া
لَبَّيْكَ اَللَّهُمَّ لَبَّيْكَ، لَبَّيْكَ لا شَرِيْكَ لَكَ لَبَّيْكَ، إِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ، لا شَرِيْكَ لَكَ
বাংলা উচ্চারণ
লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ান নিমাতা লাকা ওয়াল মুলক, লা শারিকা লাক।
বাংলা অর্থ
আমি উপস্থিত হে আল্লাহ, আমি উপস্থিত, আপনার ডাকে সাড়া দিতে আমি হাজির। আপনার কোনো অংশীদার নেই। নিঃসন্দেহে সমস্ত প্রশংসা ও সম্পদরাজি আপনার এবং একচ্ছত্র আধিপত্য আপনার। আপনার কোনো অংশীদার নেই।’ (বুখারি, হাদিস: ১৫৪৯; মুসলিম, হাদিস: ২৮১১)
তালবিয়া কখন পড়তে হয়
হাজিরা হজের ইহরাম বাঁধার সময় থেকে জামরাতুল ‘আকাবায় কঙ্কর নিক্ষেপের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত সার্বক্ষণিক তালবিয়া বলবেন- ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লা শারীকা লাকা লাব্বাইক...’। তবে কঙ্কর নিক্ষেপের আগ মুহূর্তে তালবিয়া পাঠ বন্ধ করবে।
আর ওমরাপালনকারী ইমরাম বাঁধার পর থেকে তালবিয়া পাঠ শুরু করবে এবং বায়তুল্লায় তাওয়াফ শুরু করার আগে তালবিয়া পাঠ বন্ধ করবে।
পুরুষ উচ্চৈঃস্বরে তালবিয়া পাঠ করবেন এবং নারীরা পড়বেন নিম্নস্বরে। (মানাসিক, পৃষ্ঠা: ১০০, আদ্দুররুল মুখতার, পৃষ্ঠা: ৪৮৪)।
সাইব ইবনে ইয়াজিদ (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আমার কাছে জিবরাইল (আ.) এসে বললেন, আমি যেন আমার সাহাবিদের উচ্চৈঃস্বরে তালবিয়া পাঠের নির্দেশ দিই।’ (তিরমিজি, হাদিস: ১/১৭১)
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, নারীরা উচ্চৈঃস্বরে তালবিয়া পাঠ করবেন না। (মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা, হাদিস: ১৪৮৮২)
আপনার মতামত লিখুন :