শুক্রবার, সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন এবং মুসলিম উম্মাহর জন্য ঈদের দিন হিসেবে গণ্য করা হয়। ইসলামে এই দিনটির বিশেষ মর্যাদা ও ফজিলত রয়েছে।
কোরআন ও হাদিসে জুমার দিনের গুরুত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত বলা হয়েছে, যা মুমিনদের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
কেন জুমার দিন শ্রেষ্ঠ?
হাদিস অনুযায়ী, জুমার দিনের শ্রেষ্ঠত্বের পেছনে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে।
১. এই দিনে প্রথম মানব হজরত আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করা হয়েছিল।
২. হজরত আদম (আ.)-কে এই দিনেই জমিনে পাঠানো হয়।
৩. জুমার দিনেই তার মৃত্যু হয়।
৪. এই দিনে এমন একটি বিশেষ মুহূর্ত রয়েছে, যখন বান্দার কোনো নেক দোয়া আল্লাহ ফিরিয়ে দেন না।
৫. সর্বশেষে, এই দিনেই কেয়ামত সংঘটিত হবে।
জুমার দিনের কিছু বিশেষ আমল
জুমার নামাজ: জুমার নামাজ হলো এ দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আমল। রাসুল (সা.) বলেছেন, এক জুমা থেকে পরবর্তী জুমা পর্যন্ত মধ্যবর্তী সময়ের সব ছোট পাপ ক্ষমা করে দেওয়া হয়, যদি ব্যক্তি কবিরা গুনাহ থেকে বিরত থাকে।
গোসল করা: জুমার দিনে গোসল করার বিশেষ ফজিলত রয়েছে। যারা এই দিনে ভালোভাবে গোসল করে এবং দ্রুত মসজিদে যায়, তাদের প্রতি কদমের বিনিময়ে এক বছরের রোজা ও নামাজের সওয়াব পাওয়ার কথা হাদিসে উল্লেখ করা হয়েছে।
মসজিদে আগে যাওয়া: জুমার নামাজের জন্য সবার আগে মসজিদে প্রবেশ করার গুরুত্ব অনেক। রাসুল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রথমে মসজিদে যাবে সে যেন একটি উট কোরবানি করার সওয়াব পেল।
এরপর যে যাবে, সে গরু, তারপর ছাগল, তারপর মুরগি, এবং সবশেষে যে যাবে সে একটি ডিম সদকা করার সওয়াব পেল।
দোয়া কবুলের সময়: জুমার দিনে একটি বিশেষ মুহূর্ত রয়েছে যখন আল্লাহর কাছে করা যেকোনো দোয়া কবুল হয়। হাদিসে এই মুহূর্তটিকে আছরের নামাজের পর অনুসন্ধান করতে বলা হয়েছে।
এই সময়ে মন খুলে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করলে তিনি তা কবুল করেন।
আপনার মতামত লিখুন :