শনিবার, ১৭ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


ধর্ম ডেস্ক

প্রকাশিত: মে ১৭, ২০২৫, ০৫:৪৭ এএম

হজের সুন্নত কাজগুলো কী কী?

ধর্ম ডেস্ক

প্রকাশিত: মে ১৭, ২০২৫, ০৫:৪৭ এএম

হজের সুন্নত কাজগুলো কী কী?

হজ পালনের দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত

হজ ফরজ বিধান। প্রাপ্ত বয়স যেসব মুসলিমের যাওয়া-আসা ও অন্যান্য সব রকম খরচ বহনের সামর্থ্য আছে, তাদের ওপর হজ ফরজ। কেউ হজ ফরজ হওয়ার পর আদায় না করলে আল্লাহ তাআলা তাকে কঠিন শাস্তি দেবেন।

আল্লাহর রাসূল সা. হাদিসে বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য হজ করে এবং অশ্লীল ও গুনাহর কাজ থেকে বেঁচে থাকে, সে নবজাতক শিশুর মতো নিষ্পাপ হয়ে যায়। আর মকবুল হজের পুরস্কার জান্নাত ছাড়া অন্য কিছুই নয়।’ (বুখারি, ০১/২০৬)

সামর্থ থাকার পরও হজ না করার পরিণাম ভয়াবহ। ফরজ হজ ত্যাগ করলে ইহুদি-নাসারার মতো মৃত্যু হবে বলে হাদিসে সতর্ক করা হয়েছে।

ওমর ইবনুল খাত্তাব রা. বলেন, ‘যে ব্যক্তি হজ করার সামর্থ্য রাখে, তবুও হজ করে না, সে ইহুদি হয়ে মৃত্যুবরণ করল কি খ্রিস্টান হয়ে, তার কোনো পরোয়া আল্লাহর নেই।’ (ইবনে কাসির : ১/৫৭৮)

হজ পালনের জন্য ৮ জিলহজ থেকে শুরু করে ১২ জিলহজ পর্যন্ত বেশ কিছু আমল করতে হয়, যার কিছু সুন্নত, কিছু ওয়াজিব এবং কিছু ফরজ।

হজের কিছু সুন্নত আমল তুলে ধরা হলো-

১. ইহরাম বাঁধার সময় গোসল বা অজু করা এবং শরীরে সুগন্ধি মাখা। (তিরমিজি, হাদিস : ৭৬০, মুসলিম ৮/১০১)

২. নতুন বা পরিষ্কার চাদর পরা। সাদা হওয়া উত্তম (তিরমিজি, হাদিস : ৯১৫, ২৭২৩)

৩. ইহরাম বাঁধার আগে দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করা। (মুসলিম, হাদিস : ২০৩১)

৪. বেশি বেশি তালবিয়া পড়া। (মুসলিম, হাদিস : ২২৪৬)

৫. মক্কাবাসী ছাড়া অন্যরা হজে ইফরাদ বা কিরান করাকালীন তাওয়াফে কুদুম করা। (মুসলিম, হাদিস : ২১৩৯)

৬. মক্কায় থাকাকালীন বেশি বেশি তাওয়াফ করা। (তিরমিজি, হাদিস : ৭৯৪)

৭. ‘ইজতিবা’ করা। অর্থাৎ তাওয়াফ আরম্ভ করার আগে চাদরের এক দিককে নিজের ডান বাহুর নিচে রাখা এবং অপর দিককে বাম কাঁধের ওপর পেঁচিয়ে দেওয়া। (তিরমিজি ৭৮৭)

৮. তাওয়াফের সময় ‘রমল’ করা। রমলের পদ্ধতি হলো তাওয়াফের প্রথম তিন চক্করের সময় ঘনঘন কদম ফেলা এবং উভয় কাঁধ হেলাতে হেলাতে চলা। (বুখারি, হাদিস : ১৫০১)।

উল্লেখ্য, ‘রমল’ ও ‘ইজতিবা’ ওই তাওয়াফে সুন্নত, যে তাওয়াফের পর সাঈ করা হয়।

৯. সাঈ করার সময় উভয় মিলাইনে আখজারাইনের (সবুজ বাতি) মধ্যখানে জোরে হাঁটা (পুরুষদের জন্য)। (মুসলিম, হাদিস : ২১৩৭)

১০. তাওয়াফের প্রত্যেক চক্করে হাজরে আসওয়াদে চুমু দেওয়া। চুমু দেওয়া সম্ভব না হলে হাজরে আসওয়াদের দিকে হাত উঁচিয়ে ইশারা করে হাতে চুমু দেওয়া। (আবু দাউ, হাদিস : ১৬০০, বুখারি, হাদিস : ১৫০৬, ১৫০৭)

১১. কোরবানির দিনসমূহে মিনায় রাত যাপন করা। (আবু দাউদ, হাদিস : ১৬৮৩)

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!