বুধবার, ১৪ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


ধর্ম ডেস্ক

প্রকাশিত: মে ১৩, ২০২৫, ০৯:০৬ পিএম

হজ কার ওপর ফরজ?

ধর্ম ডেস্ক

প্রকাশিত: মে ১৩, ২০২৫, ০৯:০৬ পিএম

হজ কার ওপর ফরজ?

হজ পালনের দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত

হজ ইসলামের অন্যতম স্তম্ভ। যে পাঁচটি বিষয় ইসলামে মৌলিক ফরজ, হজ সেগুলোর অন্যতম। হজ মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের বিশ্ব সম্মেলন। হজে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ও প্রান্ত থেকে নানা রং ও বর্ণের মুমিনরা সমবেত হন।

হজ কার ওপর ফরজ? এটা একটা প্রশ্ন। মূলত প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থ ও মক্কায় গিয়ে হজকার্য সম্পন্ন করে ফিরে আসার সামর্থ্য রাখে, এমন প্রত্যেক মুসলমান নারী-পুরুষের ওপর জীবনে একবার হজ করা ফরজ। তবে নারীদের জন্য স্বামী বা মাহরাম পুরুষ সঙ্গে থাকা শর্ত। (ফাতাওয়া শামি : ২/৪৫৫)

যাদের সঙ্গে কখনো বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া যায় না, তারাই মাহরাম। যেমন- পিতা, পুত্র, আপন ও সৎভাই, দাদা-নানা, আপন চাচা ও মামা, ছেলে বা নাতি, জামাতা, শ্বশুর, দুধভাই, দুধ ছেলে প্রমুখ। তবে একা একা দুধভাইয়ের সঙ্গে এবং যুবতি শাশুড়ির জামাতার সঙ্গে যাওয়া নিষেধ। (রদ্দুল মুহতার : ২/৪৬৪)

হজ ফরজ হওয়ার জন্য পাঁচটি শর্ত রয়েছে-

এক. মুসলিম হওয়া।

দুই. বিবেকবান হওয়া, পাগল না হওয়া।

তিন. বালেগ হওয়া, প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়া।

চার. আজাদ বা স্বাধীন হওয়া-অর্থাৎ কারো গোলাম বা দাস না হওয়া।

পাঁচ. দৈহিক ও আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান হওয়া।

আপনার ওপর কি হজ ফরজ হয়েছে? 

কারো ওপর জাকাত ফরজ না হয়েও তার ওপর হজ ফরজ হতে পারে। কেননা হজ ও জাকাতের মধ্যে বিশেষ পার্থক্য রয়েছে। হজ ও জাকাতের মধ্যে পার্থক্য হলো, জাকাতের সম্পর্ক নির্ধারিত নিসাবের সঙ্গে। হজের সম্পর্ক মক্কায় আসা-যাওয়ার খরচের সঙ্গে।

সুতরাং স্থাবর সম্পত্তির কিছু অংশ বিক্রয় করে কেউ যদি হজ আদায় করতে সক্ষম হয় এবং হজ থেকে ফিরে এসে বাকি সম্পত্তি দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতে পারে, তাহলে তার ওপর হজ ফরজ। (ইমদাদুল আহকাম : ২/১৫২; আহসানুল ফাতাওয়া : ৪/৫১৬)

একইভাবে ব্যবসায়ীর দোকানে যে পরিমাণ পণ্য আছে, তার কিছু অংশ বিক্রয় করলে যদি হজ করা সম্ভব হয় এবং ফিরে এসে যদি বাকি পণ্য দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করা যায়, তাহলে তার ওপরও হজ ফরজ। (ইমদাদুল আহকাম : ২/১৫৩)

আগে নিজের হজ আদায় করতে হবে

মনে রাখতে হবে যে আগে নিজের হজ আদায় করবে। পরে মাতা-পিতার চিন্তা করবে। সামর্থ্য থাকলে তাদের নিয়ে একসঙ্গে হজ করবে। অন্যথায় আগে নিজের ফরজ আদায় করবে। (রহিমিয়া : ৮/২৮২)

অনেকে মনে করে সন্তানের বিয়ে আগে দিতে হয়। তারপর হজ আদায় করতে হয়। অথচ এ কথা ইসলামসমর্থিত নয়। ইসলামের দৃষ্টিতে সন্তানের বিয়েও খুবই জরুরি। তাই বলে সন্তানের বিয়ের জন্য হজে বিলম্ব করা যাবে না। (রহিমিয়া : ৮/২৭৬)

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!