কোরবানির পশু হিসেবে ছাগল বা খাসি বেছে নেওয়া অনেক পরিবারের জন্য স্বস্তির বিষয়। তবে শরিয়তের বিধান ও সুস্থ, সবল পশু নির্বাচন করা অত্যন্ত জরুরি যাতে কোরবানি সঠিক ও কবুল হয়।
শরিয়তের দৃষ্টিতে ভালো ছাগলের শর্ত
ইসলামি শরিয়তে ভালো ছাগল অর্থাৎ কোরবানির উপযুক্ত ছাগল বলতে সেই পশুটিকে বুঝায়, যা স্বাভাবিক, সুস্থ এবং বয়স অনুযায়ী পরিপক্ব। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে পশুতে চোখের অন্ধত্ব, স্পষ্ট অসুস্থতা, খোঁড়া বা অতিরিক্ত দুর্বলতা রয়েছে, তা দিয়ে কোরবানি করা যাবে না।’ (তিরমিযি: ১৪৯৭)
অর্থাৎ, ছাগলটি হতে হবে-
দুই চোখ সম্পূর্ণ স্বচ্ছ
শারীরিকভাবে সুস্থ ও শক্তিশালী
হাঁটা-চলা স্বাভাবিক, কোনো অঙ্গহানি নেই
বয়স এক বছর বা তার বেশি (অথবা পূর্ণদেহী ছয় মাসের বেশি)
চোখের স্বচ্ছতা ও সতেজতা
ভালো ছাগলের চোখ উজ্জ্বল, কোনোরকম ম্লান ভাব নেই। চোখে জল, ফোস্কা বা লালচে ভাব থাকলে সেটি অসুস্থতার লক্ষণ হতে পারে।
শরীরের গঠন ও গতি
ছাগল শক্তপোক্ত এবং দ্রুত হাঁটে। পা সুদৃঢ়, লেজ ও কান পূর্ণাঙ্গ ও ঠিক আছে কিনা দেখা উচিত। দুর্বল, ধীরগতি বা অস্থির ছাগল কোরবানির জন্য ভালো নয়।
বয়স ও ওজন
ছাগলের বয়স ওজনের সঙ্গে সমন্বয় করে দেখা জরুরি। সাধারণত এক বছর বয়সী ছাগল আদর্শ। অতিরিক্ত ছোট বা খুব বেশি বয়সী ছাগল কোরবানির জন্য অপ্রয়োজনীয়।
শারীরিক ত্রুটি ও অসুস্থতা পরীক্ষা
শরীরে কোনো বড় দাগ, চামড়ায় ফোসকা, পায়ের ব্যথা বা হাঁটার অক্ষমতা থাকলে ছাগল নির্বাচন থেকে বিরত থাকা উচিত। এটি শরিয়তের দৃষ্টিতেও গ্রহণযোগ্য নয়।
ইনজেকশন বা কৃত্রিম মোটা করার প্রক্রিয়া এড়িয়ে চলুন
অনেকে পশুকে দ্রুত মোটা করতে বিভিন্ন ঔষধ বা ইনজেকশন ব্যবহার করেন। শরিয়তের দৃষ্টিতে এসব পশু সুস্থ নয় এবং কোরবানি হিসাবে গ্রহণযোগ্য নয়।
কোরবানির জন্য ভালো ছাগল নির্বাচন করতে হলে শরিয়তের নিয়ম মেনে সুস্থ, শক্তিশালী, নির্দোষ পশু বেছে নেওয়া জরুরি। এমন পশু আল্লাহর নিকট কবুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে এবং কোরবানির উদ্দেশ্য সঠিকভাবে পূরণ হয়।