কোরবানি একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। কোরবানি করার সময় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো নিয়ত বিশুদ্ধ রাখা ও আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে জবাই করা। মনে মনে নিয়ত করলেই তা যথেষ্ট। মুখে উচ্চারণ আবশ্যক নয়, তবে ইচ্ছা করলে বলা যায়, আমি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে কোরবানি করছি।
কোরবানি করার সময় ফরজ দোয়া
জবাই করার সময় অবশ্যই ‘বিসমিল্লাহি, আল্লাহু আকবার’ বলা ফরজ। এটি না বললে কোরবানি শুদ্ধ হবে না।
আরবি দোয়া:
بِسْمِ اللَّهِ، اللَّهُ أَكْبَرُ
উচ্চারণ: বিসমিল্লাহি, আল্লাহু আকবার
অর্থ: আল্লাহর নামে, আল্লাহ সর্বশক্তিমান মহান।
সুন্নত দোয়া (পশু জবাইয়ের সময়)
জবাই করার সময় নিচের দোয়াটি পড়া রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নত:
আরবি দোয়া:
اللَّهُمَّ هَذَا مِنْكَ وَلَكَ
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা হা-যা মিনকা ওয়া লাকা
অর্থ: হে আল্লাহ! এই পশুটি তোমার পক্ষ থেকে এসেছে এবং তোমারই উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করছি।
নারী ও অশিক্ষিতদের জন্য সহজ দোয়া
যারা আরবি দোয়া মুখস্থ রাখতে পারেন না, তারা কমপক্ষে “বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার” পড়বে। এটি না পড়লে কোরবানি গ্রহণযোগ্য হবে না।
প্রমাণসূত্র (দলিল)
এ সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে পশু জবাই করার সময় আল্লাহর নাম নেয় না, তার মাংস খাওয়া হালাল নয়।”
(সহীহ মুসলিম: ১৯৭৮)
আর অন্য হাদীসে আছে, ‘রাসুল (সা.) জবাই করার সময় বলতেন: ‘বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার, আল্লাহুম্মা হা-যা মিনকা ওয়া লাকা।’ (আবু দাউদ: ২৭৯৫)
কোরবানির সময় সঠিক দোয়া ও নিয়ত কোরবানির গ্রহণযোগ্যতার অন্যতম শর্ত। শরিয়তের দৃষ্টিতে কমপক্ষে ‘বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার’ পড়া ফরজ। এর পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর শিক্ষা অনুসারে সুন্নত দোয়া পড়া হলে ইবাদত আরও পূর্ণতা পায়।
