বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের ও স্পেসএক্সের প্রধান ইলন মাস্ক তার নতুন রাজনৈতিক দল ‘আমেরিকা পার্টি’ গঠিত হয়েছে বলে ঘোষণা দিয়েছেন। গত ২৮ মে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে প্রকাশ্য বিরোধে জড়িয়ে তার প্রশাসন থেকে বেরিয়ে যান ইলন মাস্ক। তখন থেকেই গুঞ্জন ওঠে, রাজনীতির মাঠ ছাড়ছেন না বর্তমান বিশ্বের অন্যতম এ শীর্ষ ধনকুবের। এমনকি গঠন করতে পারেন নতুন একটি রাজনৈতিক দলও।
কেন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইলন মাস্ক?
ট্রাম্পের ‘বিগ বিউটিফুল বিল’-এর বিরোধিতা
ট্রাম্প সমর্থিত একটি বিপুল কর ও ব্যয় বিল মার্কিন কংগ্রেসে পাস হয়েছে। মাস্ক এই বিলকে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অর্থনৈতিক আত্মঘাতী ও ‘ন্যাশনাল সুইসাইড’ বলে অভিহিত করেন। পূর্বের ঘোষণা অনুযায়ী ‘আমেরিকা পার্টি’ গঠন করেছেন তিনি।
দুই দলের রাজনৈতিক মেরূকরণে বিতৃষ্ণা
ইলন মাস্ক মনে করেন, আমেরিকায় ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান উভয় দলই চরমপন্থায় চলে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষের মতামত সেখানে গুরুত্ব পাচ্ছে না। তাই তিনি এমন একটি দল গঠন করতে চান, যা স্বাধীনচেতা নাগরিকদের প্রতিনিধিত্ব করবে।
মধ্যপন্থিদের জন্য রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম
মাস্কের ভাষায়, ‘বাই এ ফ্যাক্টর অব টু টু ওয়ান, আমেরিকানস ওয়ান্ট এ নিউ পলিটিক্যাল পার্টি।’
তার মতে, বর্তমান ব্যবস্থায় অনেক নাগরিক রাজনৈতিকভাবে ‘হোমলেস’ আই আমেরিকা পার্টি সেই শূন্যতা পূরণ করবে।
সরকারি ব্যয়ের লাগাম টানার অঙ্গীকার
আমেরিকা পার্টি-এর লক্ষ্য হবে:
ফেডারেল বাজেট ও জাতীয় ঋণ নিয়ন্ত্রণে আনা।
আমলাতন্ত্র ও সরকারি অপচয় কমানো।
করদাতাদের টাকায় যথাসম্ভব স্বচ্ছতা ও দক্ষতা আনা।
ব্যক্তিগত প্রতিশ্রুতি ও রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার
ইলন মাস্ক আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, যদি রিপাবলিকান দল দায়িত্বজ্ঞানহীন ব্যয়ের পথে যায়, তবে তিনি নিজেই রাজনৈতিক বিকল্প তৈরি করবেন। এই দল গঠনের মাধ্যমে মাস্ক নিজেকে শুধু প্রযুক্তি উদ্যোক্তা নয়, বরং রাজনৈতিক ‘চেঞ্জমেকার’ হিসেবেও তুলে ধরছেন।
আপনার মতামত লিখুন :