আগামী বছরের হজে যাওয়ার জন্য হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় রোববার (১২ অক্টোবর) রাত ১২টায় শেষ হচ্ছে। তবে এখনো কোটা অনুযায়ী তিন ভাগের এক ভাগ হজযাত্রীও নিবন্ধন করেননি।
নিবন্ধনের সময় বাড়ানো হবে কি না, তা সোমবার (১৩ অক্টোবর) জানা যাবে বলে জানিয়েছেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) ইতোমধ্যে সময় ৫ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর আবেদন করেছে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিবন্ধনের সময় বৃদ্ধির অনুমতি সৌদি আরবের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে। সৌদি সরকারের রোডম্যাপ অনুযায়ী রোববারই নিবন্ধনের সময় শেষ হচ্ছে। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সৌদি কর্তৃপক্ষের অনুমতি পেলে তারা সময় বৃদ্ধি করার ঘোষণা দেবে।
হজ পোর্টালের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ৩৭,৮১০ জন হজযাত্রী প্রাথমিক নিবন্ধন করেছেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩,৬৭২ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩৪,১৩৮ জন। চলতি বছরের বাংলাদেশের হজ কোটা ১,২৭,১৯৮ জন, সেই হিসাবে এখনো তিন ভাগের এক ভাগও পূর্ণ হয়নি।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আয়াতুল ইসলাম বলেন, ‘নিবন্ধনের সময় বাড়ানো হবে কি না তা সৌদি আরবের অনুমতির ওপর নির্ভর করছে। এখনো কোনো চূড়ান্ত তথ্য পাওয়া যায়নি।’
অন্য একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘কোটা অনুযায়ী এখন পর্যন্ত অনেক কম হজযাত্রী নিবন্ধন করেছেন। আমরা চাই নিবন্ধনের সময় বাড়ানো হোক, তবে সৌদি অনুমতি ছাড়া কিছু করা যাবে না।’
ধর্ম উপদেষ্টা রোববার রাতে ঢাকায় ফিরবেন। সময় বৃদ্ধি সংক্রান্ত সব পক্ষের সঙ্গে সোমবার মিটিং অনুষ্ঠিত হবে। ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন সোমবার দুপুর ১২টায় সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন। এ সময় হজ এজেন্সিগুলোর সৌদি আরবে আটকে থাকা প্রায় ৫০ কোটি টাকার অর্থ ফেরত আনা সম্পর্কেও জানানো হবে।
হাব মহাসচিব ফরিদ আহমেদ মজুমদার বলেন, ‘কোটা অনুযায়ী হজযাত্রী নিবন্ধন এখনো কম হয়েছে। আমাদের আবেদন, নিবন্ধনের সময় ৫ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হোক। আশা করি মন্ত্রণালয় যথাযথ পদক্ষেপ নেবে।’
হজযাত্রীদের প্রাথমিক নিবন্ধন ২৭ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় তিনটি প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে নিবন্ধিত হজযাত্রীদের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বাকি টাকা পরিশোধ করতে হবে।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বছরের ২৬ মে হজ অনুষ্ঠিত হবে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন