শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: অক্টোবর ৩১, ২০২৫, ১১:৪৮ এএম

উপুড় হয়ে ঘুমানো কি জায়েজ?

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: অক্টোবর ৩১, ২০২৫, ১১:৪৮ এএম

উপুড় হয়ে ঘুমালে কী ক্ষতি হয় শরীরের? ছবি- সংগৃহীত

উপুড় হয়ে ঘুমালে কী ক্ষতি হয় শরীরের? ছবি- সংগৃহীত

ঘুম মানুষের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। সারা দিনের পরিশ্রম, দৌড়ঝাঁপ আর মানসিক চাপ থেকে মুক্ত হয়ে মানুষ ঘুমের মধ্যে প্রশান্তি খুঁজে পায়। ইসলামে ঘুমকে শুধু শরীরের বিশ্রাম নয়, বরং আল্লাহর এক বিশেষ নেয়ামত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেছেন, ‘আর আমি তোমাদের নিদ্রাকে করেছি ক্লান্তি দূরকারী, রাত্রিকে করেছি আবরণ’। (সুরা নাবা : ৯-১০)

সুস্বাস্থ্যের জন্য রাতে নিয়মমাফিক ঘুমানো জরুরি। তবে অনেকেই অভ্যাসগতভাবে উপুড় হয়ে ঘুমাতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন। এমনও দেখা যায়, উপুড় হয়ে না শুলে যেন ঘুমই আসে না! তাই প্রশ্ন জাগে, ‘এভাবে ঘুমানো কি শরিয়াহসম্মত?’

এই প্রশ্নের উত্তরে রাজধানীর জামিয়া ইকরার ফাজিল মুফতি ইয়াহইয়া শহিদ বলেন, ‘উপুড় হয়ে ঘুমানো মাকরুহ। এ অভ্যাসটি শরীরের জন্য যেমন ক্ষতিকর, তেমনি ইসলামের দৃষ্টিতেও অপছন্দনীয়। উপুড় হয়ে ঘুমানো সাময়িকভাবে আরামদায়ক মনে হলেও এর ফলে শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা, মেরুদণ্ডের ক্ষতি, হজমে জটিলতা এবং ঘুমের গুণগত মানেও নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।’

‘তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এই ভঙ্গিতে ঘুমানো আমাদের প্রিয় নবি হজরত মুহাম্মদ (সা.) নিষেধ করেছেন। হাদিসে এভাবে না ঘুমানোর দুটি কারণ উল্লেখ করা হয়েছে—প্রথমত, এভাবে ঘুমানো আল্লাহ তায়ালা পছন্দ করেন না; দ্বিতীয়ত, এটি জাহান্নামিদের ঘুমানোর ভঙ্গি।’

ইয়াহইয়া শহিদ জানান, হজরত ইবনে তিখফা আল-গিফারি (রহ.) বর্ণনা করেন, তার বাবা বলেন, ‘আমি আসহাবে সুফফার একজন সদস্য ছিলাম। এক রাতে আমি মসজিদে উপুড় হয়ে ঘুমিয়ে ছিলাম। এমন সময় কেউ আমার পায়ে হালকা আঘাত করে ডেকে তুললেন এবং বললেন, ‘ওঠো! এভাবে শোয়া আল্লাহর অপছন্দ।’ আমি ঘাড় তুলে দেখি, প্রিয় নবি হজরত মুহাম্মদ (সা.) আমার পাশে দাঁড়িয়ে।’’ (আদবুল মুফরাদ : ১১৯৯)

অন্য এক হাদিসে আবু জর (রা.) বলেন, ‘আমি একবার উপুড় হয়ে শুয়ে ছিলাম। রাসুল (সা.) পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি আমাকে ঠেলে বললেন, হে জুনাইদিব! এটা তো জাহান্নামের শয়নভঙ্গি।’ (ইবনে মাজাহ : ৩৭২৪)

রাসুল (সা.) যেভাবে এই ভঙ্গিকে ‘জাহান্নামের শয়ন’ বলেছেন, তা কুরআনের আয়াতের সঙ্গেও মিলে যায়। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, যেদিন তাদের উপুড় করে টেনে নিয়ে যাওয়া হবে জাহান্নামের দিকে, সেদিন বলা হবে—জাহান্নামের যন্ত্রণা আস্বাদন কর।’ (সুরা আল-কামার : ৪৮)

তাহলে করণীয় কী?

আমাদের উচিত, যেসব অভ্যাস আল্লাহ ও তার রাসুল (সা.) অপছন্দ করেন, তা থেকে বিরত থাকা। উপুড় হয়ে ঘুমানো এমনই একটি অভ্যাস, যা ইসলাম এবং বিজ্ঞানের দৃষ্টিতেও ক্ষতিকর। তাই এই অভ্যাস ত্যাগ করে রাসুল (সা.) যেভাবে ঘুমাতেন সেভাবে ঘুমাতে হবে। আর রাসুল (সা.)-এর ঘুমানোর পদ্ধতি প্রসঙ্গে বারা ইবনে আজিব (রা.) বলেন, নবিজি (সা.) বলেছেন, ‘যখন তুমি বিছানায় যাবে তখন নামাজের অজুর মতো অজু করে নেবে। তারপর ডান পাশে শুয়ে পড়বে।’ (বোখারি: ২৪৭)

Link copied!