ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত ওমরাহ। ইসলামী শরিয়তের পরিভাষায় নির্দিষ্ট নিয়তের মাধ্যমে ইহরাম পরে কাবা শরিফ তাওয়াফ, সাফা-মারওয়ার মাঝে সাঈ এবং মাথা মুণ্ডন অথবা চুল ছাঁটাইই হলো ওমরাহ। হজের নির্দিষ্ট পাঁচ দিনের বাইরে বছরের যেকোনো সময় এ ইবাদত আদায় করা যায়।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, আর হজ ও ওমরা আল্লাহর জন্য পূর্ণ কর। (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৯৬)
ওমরাহর ফজিলত প্রসঙ্গে রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, তোমরা একের পর এক হজ ও ওমরাহ করো। কারণ, এগুলো দারিদ্র্য দূর করে এবং গুনাহ মুছে দেয় ঠিক যেমন আগুন লোহা, সোনা ও রুপার ময়লা দূর করে। (তিরমিজি, হাদিস: ৮১০)
ওমরাহর উদ্দেশ্যে যাত্রাকালে মৃত্যুবরণ করলে মুমিনের জন্য রয়েছে বিশেষ মর্যাদা। হজ ও ওমরাহ যাত্রায় মৃত্যুবরণকারীর ব্যাপারে রাসুল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি হজের উদ্দেশ্যে বের হলো এবং পথেই মৃত্যুবরণ করল-কেয়ামত পর্যন্ত তার জন্য হজের সওয়াব লেখা হবে। আর যে ওমরাহর উদ্দেশ্যে বের হলো এবং সে অবস্থায় মারা গেল-কেয়ামত পর্যন্ত তার জন্য ওমরাহর সওয়াব লেখা হবে। (মুসনাদে আবু ইয়ালা: ৬৩৫৭)
আরাফাতে উকুফ অবস্থায় মৃত্যুবরণকারী এক হজযাত্রীর ব্যাপারে নবী (সা.) নির্দেশ দেন-তাকে বরই পাতাসহ পানি দিয়ে গোসল করানো, দু’কাপড়ে কাফন দেওয়া ও সুগন্ধি ব্যবহার না করার জন্য।
তিনি বলেন, কেয়ামতের দিন সে তালবিয়া পাঠরত অবস্থায় উঠবে। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ১২৬৫)

