বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১১, ২০২৫, ০২:৪৫ পিএম

বিপদ থেকে মুক্ত থাকতে সকাল-সন্ধ্যা যে সুরা পড়বেন

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১১, ২০২৫, ০২:৪৫ পিএম

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

বিপদ-আপদহীন থাকতে প্রতিদিন সকাল ও সন্ধ্যায় কিছু দোয়া-দরুদ পাঠ করার প্রতিুৎসাহ দিয়েছেন নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। কর্মব্যস্ত জীবনে নানা স্বাভাবিক–অস্বাভাবিক পরিস্থিতির মুখোমুখি হয় মানুষ; কখনও এসব অবস্থাই বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই সবাই ঝামেলামুক্ত ও নিরাপদ থাকতে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে এবং স্বজন–শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছ থেকেও দোয়া কামনা করে থাকে।

হাদিসে নবীজি (সা.) উম্মতকে বিপদমুক্ত থাকার জন্য সহজ কিছু আমল শিখিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সকাল-সন্ধ্যায় তিনটি সুরা তিনবার করে পাঠ করলে যাবতীয় অনিষ্টতা ও বিপদাপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। সুরাগুলো হলো- সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক এবং সুরা নাস।

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে খুবাইব (রা.) বলেন, ‘এক বৃষ্টিমুখর অন্ধকার রাতে আমরা আল্লাহর রাসুল (সা.)-কে খুঁজতে বের হলাম, যেন তিনি আমাদের নিয়ে নামাজ পড়ান। পরে যখন দেখা হলো, তিনি বললেন— ‘তুমি কুল পাঠ করো।’ আমি নীরব থাকায় তিনি বারবার একই নির্দেশ দিলেন। আমি জানতে চাইলে তিনি বললেন- ‘কুল হুয়াল্লাহু আহাদ, কুল আউজু বি রাব্বিল ফালাক এবং কুল আউজু বিরাব্বিন্নাস- সন্ধ্যায় ও সকালে তিনবার। এগুলো তোমার জন্য সবকিছু থেকে সুরক্ষার জন্য যথেষ্ট হবে।’ (মুসনাদে আহমাদ: ৫/৩১২; আবু দাউদ: ৫০৮২; তিরমিজি: ৩৫৭৫)

আরেক হাদিসেও উল্লেখ আছে, নবীজি (সা.) এক সাহাবিকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, সকাল-বিকেল তিনবার তিন কুল পাঠ করতে। তিনি বলেন, এগুলো সব ধরনের বিপদ-আপদ থেকে সুরক্ষার জন্য যথেষ্ট। (আবু দাউদ: ৫০৮২; তিরমিজি: ৩৫৭৫; নাসায়ি: ৫৪২৮)

ওলামায়ে কেরাম বলেন, এসব হাদিস থেকে স্পষ্ট বোঝা যায়, সকাল-সন্ধ্যা এ সুরাগুলো পাঠ করা মুস্তাহাব এবং এতে উপকার অর্জিত হয়।

অনেকে সুরাগুলো পাঠের পর হাতে ফুঁ দিয়ে শরীরে দম করেন। তবে বিপদমুক্ত থাকতে এভাবে দম করার নির্দিষ্ট কোনো নিয়ম নেই এবং এটা আবশ্যকও নয়। কেউ করলে ক্ষতি নেই, কিন্তু এটিকে সুন্নত বলা যাবে না। (ফাতাওয়ায়ে ফকীহুল মিল্লাত: ২/১৪৩)

Link copied!