সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হঠাৎ করেই ছড়িয়ে পড়েছে অস্ট্রিয়া প্রবাসী আলোচিত ব্যক্তি সিফাত উল্লাহ ওরফে সেফুদা মারা গেছেন। বিভিন্ন ফেসবুক আইডি থেকে তার মৃত্যু নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হতে থাকে, যা দ্রুতই ভাইরাল হয়ে যায়।
তবে এই সমস্ত গুজবের অবসান ঘটিয়ে সেফুদা নিজেই আজ সকালে তার ইউটিউব চ্যানেলে একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেছেন।
নিজের ভিডিও বার্তায় সেফুদা স্পষ্ট ভাষায় জানান, আমি মারা যাইনি। হঠাৎ ঘুম থেকে উঠে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখি আমি মারা গেছি। এটি মিথ্যা ও গুজব বলে জানান তিনি।
এর আগে, আরিফ নামে এক ফেসবুক আইডি থেকে লেখা হয়, ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন, শব্দ বোমা ও লাভ ইজ পাওয়ার খ্যাত সেফুদা ইন্তেকাল করছেন। আল্লাহ মরহুম কে জান্নাত বাসি করুন আমিন।
সন্ধ্যা তারা কলি নামে এক ফেসবুক আইডি থেকে লেখা হয়, উপরে ভালো থেকো সেফুদা । আফাকে তুমি অনেক কষ্ট দিয়েছো অনেক গালিগালাজ দিছো তবুও আফার আগে চলে গেলা।
তরুছায়া নামে এক ফেসবুক আইডি থেকে লেখা হয়, আমাদের সকলের প্রিয় সেফায়ে উল্লাহ ওরফে সেফুদা না ফিরার দেশে পারি জমিয়েছেন।
এরশাদ আলম নামে এক ফেসবুক আইডি থেকে লেখা হয়, শব্দ বোমা ও লাভ ইজ পাওয়ার, প্রিয় Sefat ullah Sefuda ইন্তেকাল করছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন। আল্লাহ মরহুম কে জান্নাত বাসি করুন আমিন।
আরেক ফেসবুক আইডিতে লেখা হয়, ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নালিল্লাহি রাজিউন। হাসু আফাকে তুমি অনেক কষ্ট দিয়েছো অনেক গালিগালাজ দিছো তবুও আফার আগে চলে গেলা।
প্রিয় সেফাত উল্লা সেফুদা আজ ভোর ৩টা আস্ট্রিয়া টাইমে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করছে। আল্লাহ যেন উনার ভুল ত্রুটি ক্ষমা করে, জান্নাত দান করেন।
এদিকে তার এই ভিডিও বার্তা প্রকাশের পর তার 'মৃত্যু' নিয়ে ছড়ানো খবরগুলো মিথ্যা প্রমাণিত হয়।
সিফাত উল্লাহ বিভিন্ন ধরণের অশ্লীল ও অসঙ্গতিপূর্ণ ভিডিওবার্তা ছড়িয়ে আলোচনায় আসেন। ফেসবুক লাইভে এসে তিনি দ্রুতই 'তারকা' বনে যান।
প্রথম দিকে 'সেফুদা' নামটি তার নামের সঙ্গে যুক্ত ছিল না এবং তার লাইভ দেখার মতো দর্শকও খুব বেশি ছিল না। তখন শুধু সিফাতউল্লাহ নামেই তিনি পরিচিত ছিলেন।
আরও কয়েক বছর আগে বাংলাদেশের এক ক্রিকেটারের সঙ্গে এক তরুণীর ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পর সিফাত উল্লাহ ফেসবুকে একটি লাইভ করেন।
সেই লাইভ থেকেই মূলত তার দর্শক বাড়তে শুরু করে এবং তিনি দ্রুতই পরিচিতি লাভ করেন।
বর্তমানে অস্ট্রিয়াতে থাকেন সেফুদা। তার গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরে, তিনি ১৯৯০ সাল থেকে তিনি অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় বসবাস করছেন।
আপনার মতামত লিখুন :