ঢাকা সোমবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০২৫

রোহিঙ্গাদের অস্ত্র-নাগরিকত্ব পাওয়ার উৎস কী!

মেহেদী হাসান খাজা ও শাহজাহান চৌধুরী শাহীন

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১, ২০২৪, ১২:৩৬ এএম

রোহিঙ্গাদের অস্ত্র-নাগরিকত্ব পাওয়ার উৎস কী!

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

মিয়ানমার সৃষ্ট চলমান রোহিঙ্গা সংকট যতই দিন যাচ্ছে, ততই বাংলাদেশের জন্য একের পর এক সমস্যা সৃৃষ্টি করে চলেছে। ২০১৭ সালে মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে ১০ লাখের অধিক রোহিঙ্গা উখিয়া টেকনাফের ৩৩টি ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়। এসব ক্যাম্পের ভেতর অপরাধ কার্যক্রম, মানব পাচার, অপহরণ, মুক্তিপণ বাণিজ্য, মাদক ও অস্ত্র চোরাচালান, হত্যাসহ অন্যান্য নানা ধরনের অপরাধ সংঘটিত করছে রোহিঙ্গারা। রোহিঙ্গারা কীভাবে অস্ত্র ও নাগরিকত্ব পাচ্ছে এটা নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। এদিকে, অপরাধ বিশ্লেষকেরা বলছেন, সম্প্রতি রোহিঙ্গারা অস্ত্র ও নাগরিকত্ব পাচ্ছে? তারা কীভাবে এসব করছে তাদের নানা অপরাধের কারণে জাতীয় নিরাপত্তার হুমকিতে পড়ছে বাংলাদেশ।

বিশ্লেষকদের দাবি, রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে সামাজিক, পরিবেশগত ও নিরাপত্তাজনিত হুমকি সৃষ্টি করছে। তারপরও রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ও অস্ত্র নেওয়ার প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছে। তারা এদেশীয় একশ্রেণির স্বার্থবিরোধী, অসাধু মানুষের যোগসাজশে ভোটার তালিকায় যুক্ত হচ্ছে এবং অবৈধ পথে অস্ত্রের ব্যবসাও করছে। এদিকে গোয়েন্দা তথ্য বলছে, আগে রোহিঙ্গারা ভারি অস্ত্র সরবরাহ করত আর এখন তারা হালকা অস্ত্র সরবরাহ করছে। সম্প্রতি হালকা অস্ত্রসহ বেশ কয়েকজনকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা গ্রেপ্তার করে। তাদের ধরার পর একের পর এক অস্ত্র সরবরাহ ও নাগরিকত্বের বিষয়টি সামনে আসছে।

সূত্র জানায়, রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের পাসপোর্ট নিয়ে বিদেশেও চলে যাচ্ছে, যা আশঙ্কাজনক। কক্সবাজারের ক্যাম্পগুলোর নিবন্ধিত রোহিঙ্গারা বিভিন্ন উপায়ে বাংলাদেশের ভোটার হচ্ছে এবং জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) পেয়ে যাচ্ছে। রোহিঙ্গারা যাতে ভোটার হতে না পারে, সেজন্য নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পক্ষ থেকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে বলা হলেও তা উপেক্ষা করা হচ্ছে এবং এ প্রক্রিয়া চলমান। বিষয়টি নিয়ে ইসিও এখন উদ্বিগ্ন। রোহিঙ্গারা চট্টগ্রাম অঞ্চল ছাড়াও দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে এ পরিচয়পত্র সংগ্রহ করছে বলে অভিযোগ।

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে সরেজমিনে দেখা যায়, অনেক রোহিঙ্গা নারী ও পুরুষেরা তাদের ছেলে-মেয়ে নিয়ে সমুদ্রের পানিতে হাবুডুবু করছে। বাচ্চারা খেলাও করছে। তাদের বাড়ি কোথায় জানতে চাইলে রোহিঙ্গা নারীরা জানান, টেকনাফ নয়াপাড়া ক্যাম্পে আমাদের বাসা, আমরা এখানে ঘুরতে এসেছি।

রোহিঙ্গা নিয়ে সচেতন মহল বলছেন, মিয়ানমারে অত্যাচারের শিকার এ রোহিঙ্গারা দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে অবস্থান করছে এবং নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার বিষয়ে তারা কোনো আশার আলো দেখছে না। অনেকে বিভিন্ন কৌশলে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব নিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে মিশে যাওয়ার চেষ্টা করছে। অনেকে বিদেশে যাওয়ার জন্য সুযোগ পেলেই বাংলাদেশের পাসপোর্ট নিয়ে বিদেশ চলে যাচ্ছে। এ প্রক্রিয়া বন্ধ করতে হলে স্থানীয় জনগণ এবং সমাজের সর্বস্তরে দেশপ্রেম ও সচেতনতা বাড়ানোর বিকল্প নেই।

রোহিঙ্গাদের কীভাবে এনআইডি সরবরাহ করছে, তা খুঁজে বের করতে তদন্ত শুরু করেছে ইসি: রোহিঙ্গাদের কারা, কেন, কীভাবে এনআইডি সরবরাহ করছে, তা খুঁজে বের করতে তদন্ত শুরু করেছে ইসি। রোহিঙ্গাদের ভোটার হতে কেউ না কেউ সহযোগিতা করছে। কারণ এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে তারা অনলাইনে জন্মসনদ এবং চেয়ারম্যান-মেম্বার, কাউন্সিলর থেকে নাগরিক সনদ পাচ্ছে। এ বিষয়েও তদন্ত করা জরুরি। প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা যায়, একশ্রেণির অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং কিছু প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধির যোগসাজশে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে রোহিঙ্গারা ভোটার হচ্ছে। সিন্ডিকেটটি রোহিঙ্গাদের জন্য ভোটার হতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরির ব্যবস্থা করে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এসব ঘটনায় জড়িত অপরাধী ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসছে। তারপরও থামছে না রোহিঙ্গাদের নিয়ে নানা ধরনের অপরাধ।

২০২৩ সালের ২৭ আগস্ট রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশের নাগরিক হিসাবে জন্মনিবন্ধন, ভোটার আইডি ও পাসপোর্ট করতে সহযোগিতা করায় একটি মামলার চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বাংলাদেশ সরকার জন্মসদন, এনআইডি ও পাসপোর্ট করতে রোহিঙ্গাদের যারা সহায়তা করছে, তাদের আইনের আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছে। ইতোমধ্যে এগুলো সংগ্রহ করেছে অনেক রোহিঙ্গা, যা বাতিল করারও নির্দেশ দিয়েছে সরকার। রোহিঙ্গারা যেভাবে এ দেশের নাগরিক হয়ে যাচ্ছে, তাতে স্থানীয়রা আতঙ্কিত। রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশি পাসপোর্ট তৈরিতে সহায়তা করছে স্থানীয় কিছু মানুষ এবং রোহিঙ্গা দালালদের সিন্ডিকেট। এরা অর্থের বিনিময়ে রোহিঙ্গাদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সরবরাহ করে। ওই সিন্ডিকেটের শক্তিশালী এবং ক্ষমতাবান নেটওয়ার্ক থাকায় পুলিশি যাচাই-বাছাইকরণসহ অন্যান্য প্রক্রিয়ায় এসব অনিয়ম শনাক্ত করা কঠিন।

যেভাবে অস্ত্র পাচ্ছে রোহিঙ্গারা: এ বিষয়ে জানতে চাইলে কক্সবাজার পুলিশ সুপার মো. রহমত উল্লাহ বলেন, গত মাসে কক্সবাজার শহরের ৬ নম্বর জেটিঘাট থেকে ৪টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্রসহ স্বামী-স্ত্রীকে আটক করে জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একটি দল। মহেশখালী থেকে টেকনাফ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল অস্ত্রগুলো। এ ছাড়া বিভিন্ন সময় ভারি ও হালকা অস্ত্র উদ্ধার করছে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

যা বলছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অথবা পুলিশ: সূত্র বলছে, সীমান্তের ওপার দিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে ওপার থেকে বিভিন্নভাবে অস্ত্র ঢুকছে। সন্ত্রাসীরা এসব অস্ত্র দিয়ে ক্যাম্পে মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজিসহ প্রভাব বিস্তারের ব্যবহার করছে। মূলত ক্যাম্পে নিরাপত্তার কাজে ব্যবহৃত ভলান্টিয়ার সিস্টেম ভাঙতে সন্ত্রাসীরা অস্ত্রের ব্যবহার করছে। কারণ ভলান্টিয়াররা দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ক্যাম্পে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। আমরা কাউকে ছাড় দিচ্ছি না।

উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো মাদক ও অস্ত্রের স্বর্গরাজ্য। মিয়ানমারের নিষিদ্ধ সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা), রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও), ইসলামী মাহাজ, জমিয়তুল মুজাহিদীন ও আল ইয়াকিনসহ অন্তত ৩০ সশস্ত্র সংগঠনের সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন ক্যাম্পে নিবন্ধিত হয়ে বসবাস করছেন। এসব সংগঠনের রয়েছে অন্তত ৫০ হাজার সন্ত্রাসী। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে এসব সন্ত্রাসীরা ক্যাম্প এবং ক্যাম্প সংলগ্ন গহিন অরণ্যে গড়ে তুলেছে অবৈধ অস্ত্রের মজুত। গত প্রায় ৭ বছর ৪ মাসে ক্যাম্পে নিজেদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারের সংঘর্ষে খুন হয়েছেন আড়াই শতাধিক। এসব ঘটনায় চলতি নভেম্বর মাস পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ১২ শতাধিক দেশি-বিদেশি অস্ত্রসহ আড়াই হাজারের বেশি সন্ত্রাসী ও মাদক চোরাকারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে। উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল গোলাবারুদ এবং বিস্ফোরক। গত জানুয়ারি মাসে উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন লালপাহাড়ে র‌্যাব-১৫ এর অভিযানে ২২টি দেশি-বিদেশি অস্ত্র, গুলি ও রোমা তৈরির সরঞ্জামসহ আরসার তিন সদস্য গ্রেপ্তার হয়। এর আগে গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর কক্সবাজার শহর থেকে প্রায় ৫ কেজি বিস্ফোরক, ১৫টি ককটেল ও আইডি তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করে র‌্যাব-১৫ সদস্যরা। এ সময় গ্রেপ্তার হন আরসার কমান্ডারসহ তিন সদস্য।

ভুক্তভোগীরা জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শুধু রাতে নয়, দিনেও চলে অস্ত্রের ঝনঝনানি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা শুরু হলে এরা শূন্য রেখার কাছে গহিন অরণ্যে আত্মগোপনে চলে যায়।

আরেকটি সূত্রের দাবি, বাংলাদেশের ভেতর রোহিঙ্গাদের নিয়ে আলাদা রাষ্ট্র গঠনের আকাশ-কুসুম পরিকল্পনা করছে ভয়ংকর রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী নবী হোসেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী, রোহিঙ্গাদের জনসমর্থন আদায়ের লক্ষ্যে প্রথমে সে বাংলাদেশে জন্ম নেওয়া রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দাবি করে আন্দোলন শুরু করবে। পরে সেই আন্দোলন থেকে ‘স্বাধীন রোহিঙ্গা রাষ্ট্র’ প্রতিষ্ঠার ডাক দেওয়া হবে। তাদের এ কাজে সহযোগিতা করছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। এমনি ভয়ংকর তথ্য এসেছে রোহিঙ্গাদের মধ্য থেকেই। যাচাইয়ে নেমে এর বেশকিছু সত্যতাও পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। অবশ্য গত কয়েক মাস আগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সহযোগী ও বিদেশি অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হয়ে কক্সবাজার কারাগারে আছেন।

সূত্র বলছে, স্বপ্ন পূরণে নবী হোসেন কারাগারে থাকলে তার গঠিত অস্ত্রধারী শক্তিশালী বাহিনী অক্ষত রয়েছে। মজুত আছে বিপুল অস্ত্র। মজুত বাড়াতে সম্প্রতি হাজার কোটি টাকা মূল্যের বিশাল অস্ত্রের চালান আনার প্রক্রিয়া শেষ করেছিল সে। এর আগে গ্রেপ্তার হন।

তবে অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্য বলছে, মিয়ানমার সেনাবাহিনীই নবী হোসেনের হাতে অস্ত্রের ওই চালান তুলে দিতে চায়। তার মাধ্যমে বাংলাদেশে নিজেদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের চেষ্টা চালাচ্ছে তারা।

এ বিষয়ে মিয়ানমার ও রোহিঙ্গাবিষয়ক গবেষক ব্রি. জে. (অব.) হাসান মো. শামসুদ্দীন জানিয়েছেন, বাংলাদেশ একটা জনবহুল দেশ। মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মানবিক বিবেচনায় বাংলাদেশ আশ্রয় দিয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষে অনির্দিষ্টকাল এ সংকট টেনে নেওয়া সম্ভব নয়। রোহিঙ্গা সংকট দীর্ঘায়িত হওয়ার কারণে ও প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু না হওয়ায় সৃষ্ট সমস্যা যেন বাংলাদেশের জন্য বোঝা না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা যাতে বাংলাদেশে জনস্রোতে মিশে যেতে না পারে, সে বিষয়ে বাংলাদেশের নাগরিক, জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে সচেতন দেশপ্রেমিকের দায়িত্ব পালন করতে হবে। রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনই এ সংকটের একমাত্র সমাধান বিধায় এ কাজে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিকতার সঙ্গে দ্রুত প্রত্যাবাসনের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

এদিকে ১২ নভেম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গ্রেনেড, অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করে পুলিশ। পুুলিশ জানায়, কক্সবাজারের আলোচিত উপজেলা উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিশেষ অভিযান চালিয়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি দেশীয় তৈরি ওয়ান শুটারগান, এক রাউন্ড ৭.৬২ চায়না রাইফেলের গুলি ও একটি গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়। এই বিষয়ে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) ৮ ব্যাটালিয়ন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক খন্দকার ফজলে রাব্বি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ক্যাম্প-১৮ এলাকায় সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন আরসা সদস্যরা অবস্থান করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে বিশেষ অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ সময় রোহিঙ্গা সদস্য মো. শুক্কুরের বসতঘরে অভিযানে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে সেখানে ফেলে যাওয়া একটি দেশীয় ওয়ান শুটারগান, এক রাউন্ড ৭.৬২ চায়না রাইফেলের গুলি ও একটি গ্রেনেড বোমা উদ্ধার করা হয়।

তিনি বলেন, ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উদ্ধারকৃত আলামতগুলো ময়নার ঘোনা পুলিশ ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়েছে। তবে আমরা রোহিঙ্গাদের নজরে রাখছি যাতে তারা বিভিন্ন অপকর্ম থেকে দূরে থাকে।

আরবি/জেডআর

Link copied!