নিলামের আগে প্রভসিমরন সিংহকে ধরে রাখায় অনেকেই অবাক হয়েছিলেন। কিন্তু এই ওপেনার ব্যাট হাতে প্রমাণ করছেন, কেন তাঁর ওপর ভরসা করেছিল পাঞ্জাব কিংস।
ধর্মশালায় লখনৌ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে ফের জ্বলে উঠলেন প্রভসিমরন। ওপেন করতে নেমে ১৯তম ওভার পর্যন্ত খেলে ৪৮ বলে ৯১ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন তিনি।
তাঁর বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ের ওপর ভর করে লখনৌয়ের সামনে ২৩৭ রানের বিশাল লক্ষ্য রাখে পঞ্জাব।
এবারের আইপিএলে পঞ্জাবের ব্যাটিং মূলত তাদের তিন ব্যাটসম্যান, দুই ওপেনার প্রিয়াংশ আর্য ও প্রভসিমরন এবং অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ারের ওপর নির্ভরশীল। এই তিনজনের মধ্যে অন্তত দুই জন প্রায় প্রতি ম্যাচেই রান পাচ্ছেন।
এ কারণেই পাঞ্জাব এবার সহজে দুই শ রানের গণ্ডি পেরোতে পারছে। লখনৌয়ের বিরুদ্ধে প্রিয়াংশ প্রথম ওভারেই আউট হলেও রানের গতি ধরে রাখে তারা।
এটাই এবারের পাঞ্জাবের সাফল্যের অন্যতম রহস্য। উইকেট পড়লেও তারা রানের গতি কমতে দেয় না।
প্রভসিমরনের সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে জুটি বাঁধেন জস ইংলিস, যিনি ১৪ বলে ৩০ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন। পাওয়ার প্লে চলাকালীন ইংলিস আউট হওয়ার পর রানের গতি কিছুটা কমেছিল।
এরপরই হাত খোলা শুরু করেন প্রভসিমরন। তার ব্যাটিং ধরণ অনেকটা বীরেন্দ্র সেহবাগের মতোই, চোখ ও হাতের সমন্বয়ে বড় শট খেলতে পারদর্শী তিনি। এই ম্যাচেও তার ঝলক দেখা যায়।
লক্ষ্ণৌ-এর পেসাররা ক্রমাগত গতিতে বল করে প্রভসিমরনের কাজ সহজ করে দেন। পাঞ্জাবের এই ডানহাতি ব্যাটার সেই গতিকে দারুণভাবে কাজে লাগান।
প্রভসিমরনের পাশাপাশি অধিনায়ক শ্রেয়সও ৪৫ রানের মূল্যবান ইনিংস খেলেন। তবে দিগ্বেশ রাঠীর বলে বড় শট খেলতে গিয়ে তিনি আউট হন। এই ম্যাচে প্রথম স্পিনারের বিরুদ্ধে উইকেট হারান শ্রেয়স।
উইকেট পতনের পরেও পাঞ্জাবের রানের গতি কমেনি। ক্রিজে আসা প্রত্যেক ব্যাটসম্যানই বড় শট খেলতে থাকেন। লখনউয়ের দুর্বল ফিল্ডিংও পাঞ্জাবের ব্যাটসম্যানদের সুবিধা করে দেয়।
বেশ কয়েকটি ক্যাচ মিস হয় এবং ফিল্ডিং এর ভুলে বাউন্ডারি হজম করে তারা। মনে হচ্ছিল প্রভসিমরন হয়তো শতরান করবেন।
তবে ৯১ রানের মাথায় সেই দিগ্বেশ রাঠীই তাকে প্যাভিলিয়নে ফেরান। শেষদিকে শশাঙ্ক সিংহ ১৫ বলে ৩৩ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৩৬ রানে থামে পাঞ্জাবের ইনিংস।
আপনার মতামত লিখুন :