ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২২ মে, ২০২৫

পুরস্কার পেলেন ফয়সাল-মোর্শেদরা, অভিনন্দন পেলেও অর্থ পায়নি নারী দল

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ২১, ২০২৫, ০৩:২৫ পিএম
স্কোয়াডের ২৩ জন খেলোয়াড়কে ৫০ হাজার টাকা করে নগদ পুরস্কার দেওয়া হয়। ছবি-সংগৃহীত

সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপে রোমাঞ্চকর ফাইনালে টাইব্রেকারে ভারতের কাছে হেরে রানার্স-আপ হয়েছে বাংলাদেশ যুব দল। কান্নায় ভেঙে পড়া ফয়সাল-মোর্শেদদের অভ্যর্থনা জানাতে বিমানবন্দর থেকে সরাসরি বাফুফে ভবনে নেওয়া হয়। 

তাদের স্বাগত জানান বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল, সহ-সভাপতি ও ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান নাসের শাহরিয়ার জাহেদী।

বাফুফের পক্ষ থেকে এই কৃতিত্বের জন্য আনুষ্ঠানিক কোনো পুরস্কারের ঘোষণা না থাকলেও, নাসের শাহরিয়ার ব্যক্তিগত উদ্যোগে স্কোয়াডের ২৩ জন খেলোয়াড়কে ৫০ হাজার টাকা করে নগদ পুরস্কার ও তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রেডিয়্যান্টের পক্ষ থেকে উপহার সামগ্রী দেন। 

কোচিং স্টাফদের দেওয়া হয় সৌজন্যমূলক উপহার। দলটির প্রস্তুতির অংশ হিসেবে তারা যশোরের শামসুল হুদা একাডেমীতেও অনুশীলন করেছে, যার ব্যবস্থাও করেছিলেন এই সহ-সভাপতি।

তবে বিপরীতে বাফুফের চরম বৈষম্য আবারও সামনে এসেছে। অথচ সাফ চ্যাম্পিয়ন জয়ী নারী দলকে বাফুফে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েও এখনো অর্থ প্রদান করতে পারেনি।

৯ নভেম্বর বাফুফে নির্বাহী কমিটির প্রথম সভায় সাফ চ্যাম্পিয়ন নারী দলকে দেড় কোটি টাকা পুরস্কার প্রদানের সিদ্ধান্ত হয়। ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও বাফুফে সাবিনাদের সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারেনি। বাফুফের পরবর্তী তিন সভা এ নিয়ে কোনো আলোচনাও হয়নি। 

অথচ সরকার, সেনাবাহিনী, বিসিবি, বিওএসহ একাধিক সংস্থা নারী দলকে সম্মাননা ও অর্থ সহায়তা দিয়েছে।

প্রশ্ন উঠেছে, বাফুফে কি শুধুই কথার খেলায় মত্ত? নতুন সভাপতি তাবিথ আউয়াল ও সহ-সভাপতি ফাহাদ করিম পেশাদারিত্বের কথা বললেও বাস্তবে তার প্রতিফলন নেই। 

নির্বাচনের আগে উন্নয়নের অঙ্গীকার করলেও অধিকাংশ নির্বাহী সদস্যই পরবর্তীতে দায়িত্ব এড়িয়ে যান।  না হলে ২১ জন নির্বাহী কমিটিতে থাকার পরও সাবিনাদের দেড় কোটি টাকা বকেয়া পড়ে থাকে!