ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২২ মে, ২০২৫

আইসিসির ছোট দেশগুলোর পছন্দ এখন বাংলাদেশ

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ২১, ২০২৫, ০৯:০৩ পিএম
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। ছবি: সংগৃহীত

ক্রিকেটের ছোট দলগুলো যেন বাংলাদেশের জন্য এক বিভীষিকার নাম। প্রশ্ন ক্রিকেটপ্রেমীদের ছোট দলগুলোর সাথে কেন বারবার হারছে বাংলাদেশ? কিন্তু উত্তর জানা নেই টাইগারদের! একের পর এক সহযোগী দেশগুলোর কাছে হারতে হারতে লিটন দাসের দল এখন এক লজ্জাজনক রেকর্ডের মালিক। 

আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে প্রথম দল হিসেবে সহযোগী দেশগুলোর বিপক্ষে ১০টি ম্যাচ হারের বিব্রতকর রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ। এই অপ্রিয় সত্য দেশের ক্রিকেটের বর্তমান বেহাল দশাকেই ফুটিয়ে তুলছে।

আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, হংকংয়ের মতো দলগুলোর বিপক্ষে হার এখন বাংলাদেশের জন্য প্রায় নিয়মিত চিত্র। ২০০৯ বিশ্বকাপে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে লজ্জাজনক হার দিয়ে এই ধারা শুরু হয়েছিল। 

এরপর ২০১২ সালে স্কটল্যান্ডের কাছে হার, এবং দেশের মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হংকংয়ের বিপক্ষে ব্যর্থতা – এই তালিকায় যুক্ত হয়েছে একের পর এক নাম।

সময়ের সাথে সাথে দলের এবং অধিনায়কের পরিবর্তন এলেও পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি। সম্প্রতি ২০২৪ বিশ্বকাপের আগে নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রের মতো ক্রিকেট বিশ্বে অনেকটাই নতুন দলের বিপক্ষেও নাস্তানাবুদ হয়েছে বাংলাদেশ। 

তিন ম্যাচের সিরিজে ২-১ ব্যবধানে হেরে শান্ত-হৃদয়দের দুর্বলতা আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

এদিকে দলকে এই ব্যর্থতার জাল থেকে বের করে আনতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বিশ্বকাপ জেতানো কোচ ফিল সিমন্সকে আনা হয়েছিল। কিন্তু তাতেও চিত্র পাল্টায়নি। এক বছরের ব্যবধানে আবারও দুঃসহ স্মৃতি সঙ্গী হয়েছে বাংলাদেশের। 

শারজায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে প্রথমটিতে জিতলেও দ্বিতীয়টিতে নিজেদের সম্মান রক্ষা করতে পারেনি লিটন দাসের দল। নাটকীয় ম্যাচে শেষ বলের আগে হেরে বসে বাংলাদেশ।

এই হারের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেটের পরাশক্তি দেশগুলোর বিপক্ষে নয়, বরং আইসিসির সহযোগী দেশগুলোর বিপক্ষে এক লজ্জাজনক রেকর্ডের দখল নিয়েছে। টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে সহযোগী দেশের বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি ম্যাচে হেরেছে বাংলাদেশ। এই ১০ ম্যাচ হারের লজ্জার রেকর্ডটা সবার আগে ফিল সিমন্সের শিষ্যদের দখলেই।

কয়েক বছর আগে ক্রিকেটে যাত্রা শুরু করা আফগানিস্তান এখন বাংলাদেশকে বলে-কয়েই ম্যাচ হারায়। এই ধারা অব্যাহত থাকলে হয়তো আমিরাত কিংবা যুক্তরাষ্ট্রও শিগগিরই সে পথেই হাঁটবে, যা বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য এক অশনি সংকেত।