আর্জেন্টিনার কিংবদন্তি ফুটবলার ডিয়েগো ম্যারাডোনার মৃত্যুর কারণ নিয়ে চলমান মামলার ভবিষ্যৎ নিয়ে দেখা দিয়েছে নতুন অনিশ্চয়তা। তার চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগের ভিত্তিতে দায়ের করা এই মামলার গুরুত্বপূর্ণ একজন বিচারক গতকাল বিচারকাজ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন।
ফলে মামলাটি চলমান থাকবে নাকি নতুন করে শুরু হবে, তা নিয়ে আগামীকাল আদালত সিদ্ধান্ত জানাবেন।
ম্যারাডোনার স্ত্রী ক্লদিয়া এবং মেয়ে দালমার অভিযোগের ভিত্তিতে এই মামলা চলছে। তাদের দাবি, চিকিৎসকদের গাফিলতিতেই ম্যারাডোনার মৃত্যু হয়েছে।
এই মামলায় ম্যারাডোনার চিকিৎসায় নিয়োজিত আটজন চিকিৎসাকর্মীর মধ্যে সাতজনই অভিযুক্ত।
বিতর্কের জেরে বিচারকের সরে দাঁড়ানো
গতকাল বিচারক হুলিয়েতা মাকিনটাচ-এর সরে দাঁড়ানোর ঘটনাটি বেশ বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। জানা গেছে, তিনি এই কয়েক মাসব্যাপী বিচারকাজ ক্যামেরায় ধারণ করিয়ে একটি মিনি সিরিজ বানানোর পরিকল্পনা করছিলেন।
এই খবর প্রকাশিত হওয়ার পর বিতর্কের ঝড় ওঠে এবং মাকিনটাচের বিরুদ্ধে নৈতিকতা-সম্পর্কিত আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠে। এমন অভিযোগ ওঠার পরই তিনি বিচারকাজ থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিলেন।
চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ
২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর ডিয়েগো ম্যারাডোনার মৃত্যুর পর প্রাথমিক তদন্তে তার চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা মেডিক্যাল টিমকে ‘অনুপযুক্ত’ বলা হয়েছিল। তদন্তে আরও বলা হয় যে, ম্যারাডোনার চিকিৎসার পদ্ধতি ‘ঠিক ছিল না’।
উল্লেখ্য, মাদকসহ বিভিন্ন নেশার দ্রব্যে আসক্ত ছিলেন ম্যারাডোনা এবং অসুস্থতার কারণে তাকে বেশ কয়েকবার হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল।
তদন্তে আরও একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে, যদি সঠিক চিকিৎসা করা হতো, তাহলে আর্জেন্টিনার এই বিশ্বকাপজয়ী সাবেক অধিনায়ক আরও কিছুদিন বাঁচতে পারতেন।
মৃত্যুর কিছুদিন আগে ২০২০ সালে তার মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচারও হয়েছিল।
আপনার মতামত লিখুন :