এই একটা শিরোপা। একটাই কাপ। তারজন্য কি করেনি। লিওনেল মেসি। নেইমার জুনিয়র। এমবাপ্পে। বাদ রাখেনি কাকে?
কারি কারি ডলার ঢেলেও ছিল অধরা। হতাশা আর নিরাশা। সে অপূর্ণ পিএসজি।
হেলা আর সমালোচনায় যখন পিষ্ট। তখন ভাড় কমাতে ছেড়েছে একে একে মহা তারকাদের।
তবে হাল ছাড়েনি। তরুণদের নিয়েই গড়েছে তারণ্যের দুর্গ। ছোট ছোট কদমেও এগিয়েছে লক্ষ্যে। আর গন্তব্যে পৌঁছেছে এক ইতিহাস গড়ে।
এক নয় দুই নয়। পাঁচ পাঁচ গোল! আর প্রতিপক্ষশূন্য। এ যেন আরেক রিয়ালের আবির্ভাব!

এবার মাদ্রিদের গল্প পুরনো হলেও টানার কারণ আছে বৈকি। স্পেনিশে বার্সেলোনার মুখোমুখি হওয়া আর রিয়াল মাদ্রিদ নাকানিচোবানি খাওয়া এখন যেন নিয়মিত ঘটনা।
সেই বার্সাই সেমিতে ধরা খেয়েছিল ইন্টারের কাছে৷ সেই ইন্টারের কাছেই কোয়াটারে হেরে ঘরে ফিরেছিল বায়ার্ন মিউনিখ। তাদের মাঠেই ফাইনালে স্বপ্ন ছুঁয়ে নিল প্যারিস সেন্ট-জার্মেই।
ইন্টারের এ পরাজয়ে জার্মান ক্লাবটির ভক্তরা তাতে খানিকটা তুষ্টি পেলেও কষ্টই বেশি বাড়াল তাদের। কারণ সেই বিশে বঞ্চিত করা দলটিই এবার বাড়িতে এসে শিরোপা হাতে যেন নিদারুণ প্রতিশোধটাই নিল।
ক্লাব ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা ঘরে তুলে নিল ফরাসি জায়ান্টরা।
পিএসজির দাপটে ঠিকঠাক দাঁড়াতেই পারেনি ইতালীয় ক্লাব ইন্টার। ম্যাচের শুরু থেকেই পিএসজির আক্রমণাত্মক ফুটবলে কোনঠাসা ছিল ইন্টার। ম্যাচের মাত্র ১২ মিনিটের মাথায়ই ইন্টারের জালে জড়ায় বল।
প্রথম গোলটিও আসে ইন্টারের সাবেক খেলোয়াড় আশরাফ হাকিমির পা থেকে। আর তাতে এগিয়ে যায় পিএসজি। এরপর সাত মিনিটের মাথায় স্কোর দ্বিগুণ করে নেয় দলটি।

এবার ১৯ বছর বয়সী ফরাসি ফরোয়ার্ড দেজিরে ডুয়ি।ম্যাচ তখন ২০ মিনিটে। তার ওই নিখুঁত শটের পর ম্যাচের ৬৩ মিনিটে দুর্দান্ত গোল। ডুয়ির জোড়া গোলে তিন গোলে এগিয়ে যায় পিএসজি।

এরপর ম্যাচের ৭৩ মিনিটে খভিচা কভারাতসখেলিয়ার গোলে পিএসজির স্কোর চারে। তবে থেমে যায়নি পিএসজি।
ম্যাচের ৮৬ মিনিটে ইন্টারের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন বদলি খেলোয়াড় সেনি মায়ুলুআবার। আর তাতে পিএসজির ৫-০ গোলের বিশাল জয়!
ফাইনালে পা থেকে গোল না এলেও তরুণ তুর্কি উসমান দেম্বেলে নব্বই মিনিটই ছিল উজ্জ্বল। গোল করিয়েছেন দুটি।

নতুন বস লুইস এনরিকের হাত ধরেও মৌসুমের প্রথমভাগে ছিল শুধুই ব্যর্থতার গল্প।
নতুন ফরমেটে এবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ উতরানোর সহজ সুযোগটাও যেন হাতছাড়া হতে হতে হয়নি শেষ পর্যন্ত।
এরপর ক্লান্তি মুছে দুর্দান্ত পথচলায় এগিয়ে চলে পিএসজি। আর অবশেষে ক্লাবের সুদীর্ঘ ইতিহাসে কোনো দল যা পারেনি, সেই অধরা এখন ডুয়ি-দেম্বেলেদের হাতে।
আপনার মতামত লিখুন :