শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ব্যাট হাতে লড়াইয়ে পুঁজি মোটেও কম ছিল না বাংলাদেশের। তবে ইনিংসের শেষ দিকে হাসান মাহমুদ ও নাহিদ রানা জুটির ওপরই ছিল বড় সংগ্রহের আশা।
শেষ উইকেটে মাইলফলক ছোঁয়ার আশা জাগিয়েও শেষ পর্যন্ত তা আর হলো না। খুব কাছাকাছি গিয়েও ব্যর্থ হলো শেষ জুটি।
শেষ পর্যন্ত ৪৯৫ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ।
লঙ্কানদের বিপক্ষে বাংলাদেশের পাঁচশ ছাড়ানো ইনিংসের সংখ্যা খুব বেশি নয়। ২০১৩ সালে গল টেস্টের ৬৩৮, এরপর ২০১৮ সালে করা ৫১৩ আর ২০২১ সালে ৫৪১/৭, এই তো! আজ গলে সে সংখ্যাটা চারে উন্নীত করার সুযোগ ছিল। বাংলাদেশ চেয়ে ছিল সে মাইলফলকটাতেই।
সেটা করতে হলে আজ প্রয়োজন ছিল ১৬ রান। দিনের দ্বিতীয় বলেই ভাগ্যগুণে একটা চার পেয়ে যায় বাংলাদেশ। আসিথা ফার্নান্দোর ডেলিভারি হাসান মাহমুদের ব্যাটের নিচের কানায় লেগে চলে যায় বাউন্ডারিতে। সে ওভার থেকে আসে আরও এক রান।
পরের ওভারে আসে আরও এক রান। আসিথার করা দিনের তৃতীয় ওভারের প্রথম বলে বাই থেকে আসে আরও একটি চার। তাতে মনে হচ্ছিল ভাগ্যের ছোঁয়াতেই বুঝি ৫০০ ছুঁয়ে ফেলবে বাংলাদেশ।
তবে সেটা শেষমেশ হয়নি। সে চারের দুই বল পর স্ট্রাইকে এসে নাহিদ রানা লেগ স্টাম্পের অনেক বাইরের বলে ব্যাট ছুঁইয়ে দেন। তা গিয়ে জমা পড়ে উইকেটরক্ষক কুশল মেন্ডিসের হাতে। বাংলাদেশ অলআউট হয় ৫০০ থেকে ৫ রানের দূরত্বে থেকে।
পাঁচশ না হলেও পুঁজিটা মন্দ হয়নি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এটি বাংলাদেশের চতুর্থ সর্বোচ্চ দলীয় রান। এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশকে স্বস্তি দিতে পারে একটা তথ্য। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে যখনই ৪৫০ রানের বেশি করেছে বাংলাদেশ, সে ম্যাচে হারেনি দল। একমাত্র যে টেস্টটা জিতেছে, সে টেস্টে বাংলাদেশ ৪৬৭ রান তুলেছিল প্রথম ইনিংসে।
সেসব অবশ্য কেবলই তথ্য। মাঠের খেলায় এখন বাকি কাজটা সারতে হবে বাংলাদেশকে।
দিনের শুরুতে ব্যাট হাতে দলকে খুব বেশিদূর নিয়ে যেতে পারেননি হাসান আর নাহিদ। তাদের মূল কাজটা শুরু এখন। বল হাতে দলকে ভালো শুরু এনে দেওয়ার গুরুদায়িত্ব এখন তাদের কাঁধে।
আপনার মতামত লিখুন :