ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে ১০ জনের দল নিয়েও পাচুকার বিপক্ষে রিয়াল মাদ্রিদের ৩-১ গোলের দুর্দান্ত জয় ছাপিয়ে গেছে এক গুরুতর অভিযোগ।
ফরাসি ডিফেন্ডার আন্তোনিও রুডিগার অভিযোগ করেছেন, পাচুকার আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার গুস্তাভো কাব্রাল তাকে বর্ণবাদমূলক ভাষায় অপমান করেছেন।
এই ঘটনা ফুটবল বিশ্বে নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে, যেখানে কাব্রাল অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
শ্বাসরুদ্ধকর এই ম্যাচের যোগ করা সময়ে রুডিগার ও কাব্রালের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়। রুডিগার দাবি করেন, সেই সময় কাব্রাল তাকে বর্ণবাদমূলক গালি দেন।
তাৎক্ষণিকভাবে রুডিগার রেফারি রামন আবাতিকে বিষয়টি জানান। রেফারি বর্ণবৈষম্যের অভিযোগের জন্য ব্যবহৃত ফিফার নির্ধারিত 'X' চিহ্ন (বুকে হাত ক্রস করে দেখানো) ইঙ্গিত দেন, যা এই অভিযোগের গুরুত্ব তুলে ধরে।
ম্যাচ শেষে রিয়াল মাদ্রিদের কোচ জাবি আলোনসো এই অভিযোগ নিয়ে কথা বলেন। তিনি সাংবাদিকদের জানান, তোনি (রুডিগার) আমাদের জানিয়েছে সে কী শুনেছে। আমরা তাকে বিশ্বাস করি। এটি একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। ফিফার প্রোটোকল অনুযায়ী এখন তদন্ত চলছে।
আলোনসোর এই মন্তব্য থেকে স্পষ্ট যে, রিয়াল মাদ্রিদ তাদের খেলোয়াড়ের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখছে।
তবে গুস্তাভো কাব্রাল রুডিগারের বর্ণবাদের অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন। তিনি স্বীকার করেছেন যে রুডিগারকে 'f---ing coward' (অশোভন ভাষায় কাপুরুষ) বলেছেন।
কাব্রাল বলেন, "ওর (রুডিগার) সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি হয়েছিল, ও বলল আমি হাত দিয়ে মারছি। আমি তখন তাকে 'f---ing coward' বলি, যেটা আর্জেন্টিনায় আমরা প্রায়ই বলি।
এর মানে কোনো বর্ণবাদ নয়। কাব্রালের এই ব্যাখ্যা বিতর্কের নতুন মাত্রা যোগ করেছে, যেখানে একটি সাধারণ অপশব্দকে বর্ণবাদী মন্তব্যের সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে।
পাচুকা কোচ জাইমে লোজানোও এই বিষয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য করেননি। তিনি বলেন, আমি ঘটনাটি দেখিনি। ওর সঙ্গে কথা বলতে হবে। তবে কাব্রালের বিরুদ্ধে এরকম অভিযোগ আগে কখনও ওঠেনি।
কোচের এই মন্তব্য থেকে বোঝা যায়, পাচুকা কর্তৃপক্ষও বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
ফুটবল মাঠে বর্ণবাদের অভিযোগ নতুন নয়। ফিফা এবং অন্যান্য ফুটবল সংস্থাগুলো বর্ণবাদ নির্মূলে কঠোর পদক্ষেপ নিলেও, এমন ঘটনা বারবার ফুটবলের সৌন্দর্যকে ম্লান করে দিচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :