বিসিবিতে যুক্ত হচ্ছেন আইসিসির বর্ষসেরা আম্পায়ার

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আম্পায়ারদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে এবার যুক্ত হচ্ছেন ক্রিকেটের অন্যতম সেরা আম্পায়ার সাইমন টোফেল।

আইসিসির এলিট প্যানেলের সাবেক এই আম্পায়ারকে ৩ বছরের চুক্তিতে নিয়োগের সিদ্ধান্ত গতকাল বিসিবির বোর্ড সভায় চূড়ান্ত করা হয়েছে।

এই পদক্ষেপকে বাংলাদেশের আম্পায়ারিংয়ের মান উন্নয়নে একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত হিসেবে দেখা হচ্ছে।

অস্ট্রেলিয়ার সাবেক এই আম্পায়ার টানা পাঁচবার আইসিসির বর্ষসেরা আম্পায়ারের পুরস্কার জিতে বিশ্বজুড়ে তার দক্ষতা ও নির্ভরযোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছেন। তার দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা এবার বাংলাদেশের ক্রিকেটকে সমৃদ্ধ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

লিভারপুলের স্কোয়াডে বড় রদবদল, নতুন করে নাম লেখালেন যারা

বিস্তারিত পড়ুন

বিসিবিতে সাইমন টোফেলকে যুক্ত করা প্রসঙ্গে আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার রহমান মিঠু বলেন, সম্প্রতি আমরা আইসিসির সাবেক এলিট আম্পায়ার সাইমন টোফেলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।

সে নানা দেশের আম্পায়ারদের উন্নতি নিয়ে কাজ করে, এমনকি সে আইসিসির সঙ্গেও যুক্ত। তার সঙ্গে আমরা ৪-৫ মাস—অনেকদিন ধরেই কথা বলছিলাম, এটা এখন বোর্ডে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, সাইমন টোফেলের সঙ্গে আমাদের ৩ বছরের চুক্তি। প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পর্যায়ে কাজ করা হবে। এটা নিয়ে আমরা ১০-১৫ জন আম্পায়ার ট্রেনার তৈরি করব যারা সারা দেশে আম্পায়ারদের উন্নতিতে কাজ করবে।

হাসপাতাল থেকে ফিরে দলে যোগ দিলেন বোনমাতি

বিস্তারিত পড়ুন

এখানে উনার প্রতিনিধি দল আসবে এবং পুরো প্রোগ্রামটা করবে। তবে আসা-যাওয়ার মধ্যে থাকবেন তিনিও।

এখনো চুক্তি স্বাক্ষর হয়নি, সে নিজেও এটার মধ্যে আছেন। এখন কোন প্রক্রিয়ায় কাজ হবে সেটা আসলে আপনাদের সামনে নিয়ে আসব এবং আপনারা প্রশ্ন করতে পারবেন।

সাইমন টোফেলের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ার

১৯৯৯ সালে সাইমন টোফেল প্রথম আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ম্যাচে আম্পায়ারিং করেন এবং ২০০০ সালে টেস্ট ক্রিকেটেও আম্পায়ারিংয়ের সুযোগ পান।

বাফুফের ট্রায়ালে তারকার ঝলক, ফল নিয়ে ধোঁয়াশা

বিস্তারিত পড়ুন

তার অসাধারণ দক্ষতা এবং বিশ্বাসযোগ্যতার কারণে ২০০৩ সালে তিনি আইসিসির এলিট প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত হন। এরপর প্রায় এক দশক তিনি ছিলেন বিশ্বের সেরা আম্পায়ারদের একজন।

২০০৩ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত আইসিসির এলিট প্যানেলের আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে সাইমন টোফেল আইসিসির মেগা ইভেন্টের বড় সব ম্যাচ এবং অ্যাশেজ সিরিজের মতো রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে আম্পায়ারিং করেছেন।

সবমিলিয়ে তিনি ৭৪টি টেস্ট, ১৭৪টি ওয়ানডে এবং ৩৪টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ পরিচালনা করেছেন। এ ছাড়া, ২০০৪ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত আইসিসির টানা পাঁচবারের বর্ষসেরা আম্পায়ার হওয়ার অনন্য রেকর্ডটিও তার দখলে।