এস্তাদিও দো আলগারভে স্টেডিয়ামে ফাইনালের টানটান উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী স্পোর্তিং সিপিকে ১-০ গোলে হারিয়ে পর্তুগালের সুপারটাকা দে পর্তুগাল শিরোপা ঘরে তুলেছে বেনফিকা।
তবে ম্যাচের ফল ছাড়িয়ে এদিনের মূল কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল প্রয়াত ফুটবলার দিয়োগো জোতা ও তার ভাইয়ের স্মরণে আয়োজিত এক আবেগঘন শ্রদ্ধাঞ্জলি।
ম্যাচ শুরুর ঠিক আগে পুরো স্টেডিয়াম থেমে যায় এক মুহূর্তের নীরবতায়, যেখানে স্মরণ করা হয় জোতা ও তার ভাইকে। যারা ৩ জুলাই স্পেনের জামোরায় এক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান।
স্টেডিয়ামের জায়ান্ট স্ক্রিনে জোতা ও তার পরিবারের ছবি ভেসে ওঠে, চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে আবেগ।
গ্যালারির ভিআইপি বক্সে উপস্থিত ছিলেন জোতার সদ্যবিবাহিতা স্ত্রী রুতে কারদোসো। ছবিতে দেখা যায়, স্বামীর স্মরণে তার চোখ থেকে জল পড়ছিল। জোতার স্ত্রী এখনো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্বামীর স্মৃতি ধরে রেখেছেন নানা আবেগঘন বার্তায়।
তার উপস্থিতি যেন এই শ্রদ্ধার দৃশ্যকে আরও ব্যক্তিগত ও হৃদয়বিদারক করে তোলে। পর্তুগিজ ফুটবলের কিংবদন্তি রুই কস্তাসহ আরও অনেকেই ছিলেন তার পাশে।
মাঠের খেলায় জয়সূচক গোলটি আসে ৫০তম মিনিটে, যখন গ্রিক স্ট্রাইকার ভানগেলিস পাভলিদিস স্পোর্তিং গোলরক্ষক রুই সিলভার ভুলের সুযোগ নিয়ে ম্যাচের একমাত্র গোলটি করে বসেন।
খেলার প্রথমার্ধে দাপট ছিল স্পোর্তিংয়ের। সাবেক রিয়াল ভালাদোলিদ ডিফেন্ডার ইভান ফ্রেসনেদার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে আক্রমণে ধার ছিল স্পোর্তিংয়ের।
তবে গোল হজম করার পর খেলার ছন্দ চলে আসে বেনফিকার দখলে। মিডফিল্ডে রিচার্ড রিওসের নিয়ন্ত্রণে খেলার গতি পাল্টে যায়।
সমতা ফেরাতে স্পোর্তিং কোচ রুবেন আমরিম নামান নতুন সাইনিং লুইস সুয়ারেসকে, যিনি আলমেরিয়া থেকে সদ্য যোগ দিয়েছেন। কলম্বিয়ান ফরোয়ার্ড কিছুটা ঝলক দেখালেও গোলের দেখা পাননি।
এই জয়ের মাধ্যমে বেনফিকা তাদের দশম সুপারটাকা দে পর্তুগাল শিরোপা ঘরে তুলল। আবারও প্রমাণ করল কেন তারা পর্তুগিজ ফুটবলের অন্যতম মহাশক্তি।
আপনার মতামত লিখুন :