সম্প্রতি ইউটিউবে আলোচিত ব্যক্তি আস্টন হলের এক ‘অত্যধিক সকাল শুরু’ রুটিন বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। ভোর ৩:৫২ থেকে শুরু হওয়া তার কঠোর স্বাস্থ্য ও মনোযোগকেন্দ্রিক রুটিন যেন এক অভিনব আর্ট ইনস্টলেশনের মতো, যেখানে ‘প্রস্তুতি’ নিজেই হয়ে উঠেছে মূল বিষয়, কাজ বা অর্জনের পরিবর্তে।
আসলে আস্টন হলের দিনের শুরুটা এমন এক জটিল প্রস্তুতির মাধ্যমে হয় যা শেষ হয় সকাল ৯:২৬-এ। যখন তিনি সশ্রদ্ধভাবে ডেস্কে বসে অ্যাভোকাডো টোস্ট খান। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায়, এতো প্রস্তুতি কীসের জন্য? আসল কাজ বা ফলাফল কোথায়?
এই গল্প থেকে ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ECB) তৈরি করা ‘দ্য হান্ড্রেড’ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের সাথে একটি মজার মিল পাওয়া যায়।
চার বছর পর নতুন মালিকানায় যাওয়ার আগের এই শেষ আসরে স্পষ্ট যে, ‘দ্য হান্ড্রেড’ আসলে এক অভিনয়, যেখানে আসল ক্রিকেটের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয় ঝলমলে সাজসজ্জা ও প্রচারণায়।
দর্শকরা পরিবার-বান্ধব পরিবেশ উপভোগ করলেও, ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের মতে ‘দ্যা হান্ড্রেড’ হলো খেলা নয়, বরং ‘প্রস্তুতির খেলা’।
এক জটিল ও অদ্ভুত ফরম্যাট যা খেলোয়াড়দের নিজস্ব দক্ষতা দেখানোর সুযোগ কমায়, আর কোনো নাটকীয় মুহূর্ত বা স্মরণীয় পারফরম্যান্স তৈরি করতে পারেনি।
এছাড়াও, টুর্নামেন্টটি নতুন কোনো দর্শক আনার প্রমাণ দেয়নি, বরং এর বাজেট ও পরিচালনা অনেক প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। এটা স্পষ্ট যে ‘দ্য হান্ড্রেড’ হলো ইংলিশ ক্রিকেটের এক বিকৃত অধ্যায়।
যা মূল খেলার থেকে দূরে সরে গিয়ে শুধুমাত্র প্রচার আর আয় করার একটি মাধ্যম।
তবে আশার কথা হলো, নতুন মালিকদের আগমনে ইংলিশ ক্রিকেটে পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা রয়েছে। ইংল্যান্ডে আইপিএল জাতীয় এক শক্তিশালী টি-২০ লিগ চালুর কথাও উঠেছে।
যা ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য আসল খেলা এবং ভালো মানের প্রতিযোগিতা হতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :