ক্রিকেট ইতিহাসের পাতা ঘাঁটলে দেখা যায়, ১৭ আগস্ট ছিলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার সাক্ষী। এই দিনটিতে জন্ম নিয়েছে নানা রোমাঞ্চকর ঘটনা, গৌরবময় সাফল্য এবং বেদনাময় অধ্যায়।
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক আজকের দিনে ক্রিকেট ইতিহাসে ঘটে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলো।
অ্যাশেজ পুনরুদ্ধার ইংল্যান্ডের (১৯৫৩)
১৯৫৩ সালের এই দিনে ইংল্যান্ড দীর্ঘ ১৮ বছর ৩৬২ দিনের অপেক্ষার পর দ্য ওভালে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে অ্যাশেজ পুনরুদ্ধার করে। এটি ছিল ইংল্যান্ডের জন্য ছিল এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত।
অধিনায়ক লেন হাটন প্রথম পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে এই মর্যাদাপূর্ণ অ্যাশেজ ট্রফি জেতেন। সেদিন শেষ রানটি তুলেছিলেন মিডলসেক্সের দুই কিংবদন্তি ক্রিকেটার ডেনিস কম্পটন ও বিল এডরিচ। যা ছিল এক আবেগঘন মুহূর্ত।
শ্রীলঙ্কার তিন শতক (১৯৯২)
১৯৯২ সালে কলম্বোর সিংহলীজ স্পোর্টস ক্লাবে এক বিরল ঘটনা ঘটে। শ্রীলঙ্কার তিন ব্যাটার—অশঙ্কা গুরুসিনহা (১৩৭), অর্জুনা রানাতুঙ্গা (১২৭) এবং নবাগত রমেশ কালুভিতারানা (অপরাজিত ১৩২)—একই দিনে শতক হাঁকান।
কিন্তু ক্রিকেট যে অনিশ্চয়তার খেলা, তার প্রমাণ মেলে দ্বিতীয় ইনিংসে। মাত্র ৩৭ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে শ্রীলঙ্কা অস্ট্রেলিয়ার কাছে ১৬ রানে হেরে যায়।
টেস্টের শেষ দিনে মাঠ ভাঙচুর (১৯৭৫)
১৯৭৫ সালে হেডিংলি টেস্টের শেষ দিনে এক অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটে। বন্দি জর্জ ডেভিসের সমর্থকেরা মাঠে ভাঙচুর করে এবং উইকেট নষ্ট করে দেয়।
ফলে সেদিন খেলা আর শুরু করা সম্ভব হয়নি। এবং নিশ্চিত জয়ের সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও অস্ট্রেলিয়াকে ম্যাচটি ড্র করতে হয়।
প্রতিভাবান ক্রিকেটারের বিদায় (১৯৭৬)
১৯৭৬ সালে নিউজিল্যান্ডের প্রতিভাবান উইকেটরক্ষক কেন ওয়াডসওর্থ মাত্র ২৯ বছর বয়সে ত্বক ক্যানসারে মারা যান। ৩৩ টেস্টে ৯৬টি ডিসমিসাল করা এই ক্রিকেটার নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটে এক অপূর্ণ প্রতিশ্রুতি হয়েই রইলেন।
ক্রেইগ আরভিনের জন্ম (১৯৮৫)
১৯৮৫ সালে আজকের দিনে জিম্বাবুয়ের ক্রেইগ আরভিন জন্মগ্রহণ করেন। গুরুতর ইনজুরি থেকে ফিরে আসা এই ক্রিকেটার ২০১০ সালে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেকে অপরাজিত অর্ধশতক করেন।
এরপর টেস্টেও সেঞ্চুরি হাঁকান, এবং ২০২২ সালে জিম্বাবুয়ের হোয়াইট-বল দলের অধিনায়ক হন।
ইংল্যান্ডের রেকর্ড জুটি (১৯৮৫)
১৯৮৫ সালে এডবাস্টনে ইংল্যান্ডের অধিনায়ক ডেভিড গাওয়ার (২১৫) এবং টিম রবিনসন (১৪৮) মিলে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩৩১ রানের এক বিশাল জুটি গড়েন
আরব আমিরাতের ঐতিহাসিক জয় (২০২৩)
২০২৩ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাত ক্রিকেট ইতিহাসে নতুন অধ্যায় যোগ করে। ১৭ বছর বয়সী স্পিনার আয়ান আফজাল খানের দুর্দান্ত বোলিং (৩/২০) -এর সুবাদে তারা নিউজিল্যান্ডকে প্রথমবারের মতো কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচে পরাজিত করে।
এই জয় ছিল তাদের ক্রিকেটের জন্য এক বিশাল মাইলফলক।
আজকের দিনটি ক্রিকেট ইতিহাসে একাধিক স্মরণীয় ঘটনার সাক্ষী। ২২ গজে ব্যাট ও বল হাতে সাফল্য, রেকর্ড এবং অবিশ্বাস্য মুহূর্তগুলো ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য আজও অনুপ্রেরণার উৎস।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন