আর মাত্র এক মাস বাকি, অথচ এখনও নারী ক্রিকেট বিশ্বকাপের ম্যাচ টিকিটের কোনো নিশ্চিত খবর নেই। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (আইসিসি) এই টুর্নামেন্টকে ‘ইতিহাসের সবচেয়ে বড় নারী ক্রিকেট টুর্নামেন্ট’ হিসেবে ঘোষণা করলেও শেষ মুহূর্তের চমক এবং ভেন্যু পরিবর্তনের কারণে আন্তর্জাতিক ভক্তদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে।
ইংল্যান্ড থেকে আসা সু কিচেন তাদের একজন। তিনি তার ভারত সফরের পরিকল্পনাকে ‘মারাত্মক লেভেলের কষ্টকর’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। ফেসবুকের নারী ক্রিকেট সমর্থকদের গ্রুপে অনেকেই তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করছেন।
কিছু ভক্ত তো লজিস্টিক্যাল সমস্যার কারণে ভারত সফর বাতিল পর্যন্ত করেছেন। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের মতে, ১৯৭৮ সালের নারী বিশ্বকাপের সময় ভারতের অবস্থা যেমন ছিল, ৫০ বছর পরেও প্রশাসনিকভাবে পরিস্থিতি প্রায় একই।
অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন ক্রিকেটার পলিন বাঞ্চ সেই অভিজ্ঞতাকে ‘অগোছালো পরিস্থিতি’ হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন।
নারী বিশ্বকাপে ভেন্যু সংকট
প্রথম ম্যাচের মাত্র ৪০ দিন আগে ফাইনালের ভেন্যু পরিবর্তন করা হয়। বেঙ্গালুরুতে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর (আরসিবি) প্রথম আইপিএল শিরোপা জয়ের উদ্যাপনে যোগ দিতে গিয়ে ১১ জন সমর্থকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।
আহত হয়েছেন আরও ৩৩ জন। এই ঘটনার পর শেষ মুহূর্তে ভেন্যু নভি মুম্বাইয়ে স্থানান্তর করা হয়।
নভি মুম্বাইয়ের পাশাপাশি গুয়াহাটি, ইন্দোর এবং বিশাখাপত্তনমের মতো ছোট শহরে ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে। এই শহরগুলোতে আন্তর্জাতিক নারী ক্রিকেট আয়োজনের পূর্ব অভিজ্ঞতা সীমিত।
এদিকে রাজনৈতিক কারণে পাকিস্তানের সকল ম্যাচ কলম্বোতে অনুষ্ঠিত হবে।
আর্থিক ও প্রশাসনিক চাপ
টিকিট প্রকাশে বিলম্বের কারণে ভক্তদের বারবার নতুন করে বুকিং করতে হচ্ছে, যা তাদের খরচ বাড়িয়ে দিচ্ছে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) যে ভেন্যুগুলো বেছে নিয়েছে, তাতে দর্শকের উপস্থিতি নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, আয়োজক দেশের খেলা না থাকলে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামের আশঙ্কাও রয়েছে।
লর্ডস এবং এমসিজি-এর মতো বিখ্যাত স্টেডিয়ামে নারী ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতা দেখিয়েছে যে, জমজমাট স্টেডিয়াম খেলোয়াড় ও ভক্তদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হতে পারে।
কিন্তু এই বিশ্বকাপে এমন সুযোগ সীমিত হওয়ায় নারী ক্রিকেটের সমর্থন এবং প্রসারে এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন