ক্রিকেট ক্যারিয়ারের শেষ প্রান্তে এসে নতুন ইনিংস শুরু করার ইঙ্গিত দিলেন অস্ট্রেলীয় ওপেনার উসমান খাজা। ক্রিকেট থেকে অবসরের পর ধারাভাষ্যের পাশাপাশি রাজনীতিতে যোগ দিতে পারেন খাজা।
৩৮ বছর বয়সী এই বাঁহাতি ওপেনারের আগামী অ্যাশেজই তার শেষ সিরিজ কি না তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। এর পরেই ধারাভাষ্যে যোগ দিতে পারেন তিনি। ‘ফক্স ক্রিকেট’-এর সঙ্গে চুক্তি হয়েছে তার। খাজা পাশে পাবেন অ্যাডাম গিলক্রিস্ট, মার্ক ওয়, ডেভিড ওয়ার্নার এবং ব্রেট লির মতো সাবেকদের।
ক্রিকেটের বাইরে বিভিন্ন সামাজিক কাজে নিয়মিত যুক্ত থাকার কারণে খাজার রাজনীতিতে আসার জল্পনা আরও জোরালো হয়েছে। সম্প্রতি তিনি প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি অ্যালবানিজের সঙ্গে গাজার মানবিক সংকট নিয়ে আলোচনা করেন।
ইসরায়েলের আগ্রাসনে হাজার হাজার শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় তিনি সরকারের নীরব ভূমিকার সমালোচনা করেছেন। খাজা মনে করেন, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত এবং গাজায় আরও বেশি ত্রাণ পাঠানো প্রয়োজন।
ইউক্রেনকে বিপুল আর্থিক সাহায্য দেওয়ার পরও গাজার প্রতি অস্ট্রেলিয়ার উদাসীনতায় ক্ষোভ প্রকাশ করে খাজা বলেন, 'ওরা শিশু। একজনের মৃত্যুই যথেষ্ট উদ্বেগের।
অথচ আমাদের সরকার ইউক্রেনকে ৮৮২৬ কোটি টাকা সাহায্য করেছে, আর গাজার মানুষ সাহায্য পেয়েছে মাত্র ১১৪৭ কোটি টাকা।' তিনি সরকারের এই দ্বিমুখী নীতির তীব্র সমালোচনা করেন।
পাকিস্তানের লাহোরে জন্মগ্রহণকারী খাজা অস্ট্রেলিয়াকে একটি বহু-সাংস্কৃতিক দেশ হিসেবে দেখতে চান। নিজের বেড়ে ওঠার দিনগুলোর অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, 'আমি শ্বেতাঙ্গ নই বলেই অনেক কটাক্ষ শুনতে হয়েছে।
একজন অস্ট্রেলীয় হয়ে যদি নিজ দেশেই এই ধরনের বৈষম্যের শিকার হতে হয়, তার চেয়ে খারাপ আর কিছু হতে পারে না। সারা জীবন আমাকে এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হয়েছে।'
রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার বিষয়ে খাজা সরাসরি কোনো মন্তব্য করেননি। তিনি বলেন, 'প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে, যা আমি প্রকাশ্যে বলতে চাই না। তবে গাজার শিশুদের মৃত্যুর বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি।
অনেকেই বলেন খেলাধুলার সঙ্গে রাজনীতি মেলানো উচিত নয়, কিন্তু ক্রিকেটের মাধ্যমেই আমি অনেক রাজনীতিবিদকে চিনেছি। রাজনীতিতে যোগ দেব কিনা, তা নিয়ে এখনই নিশ্চিত নই।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন