হেডনসফোর্ড টাউন ফরোয়ার্ড হজ্জানা পার্নেল এবং তার কন্যা রেমায়া অসবর্ন ফুটবল ময়দানে এক বিরল গল্প তৈরি করেছেন। নারী এফএ কাপের দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচের আগে এই মা-মেয়ের জুটি তাদের স্বপ্ন পূরণের কথা তুলে ধরলেন।
হেডনসফোর্ড টাউনের হয়ে একই দলে খেলছেন ৩৮ বছর বয়সী মা হজ্জানা পার্নেল এবং তার ১৬ বছর বয়সী কন্যা রেমায়া অসবর্ন। এটি কোনো সাধারণ খেলা নয়, বরং এমন এক স্বপ্ন যা বহু ফুটবলার জন্মলগ্ন থেকে কল্পনা করে, কিন্তু বাস্তবে খুব কমই সত্যি হয়।
হজ্জানা পার্নেল একসময় পেশাদার ফুটবলের উজ্জ্বল তারকা ছিলেন। মাত্র ১১ বছর বয়সে অ্যাস্টন ভিলা ট্রায়ালে সুযোগ পান এবং পরে বার্মিংহাম সিটিতে খেলেন। ১৭ বছর বয়স পর্যন্ত সেখানে খেলার পর তিনি ফুলহাম, চার্লটন, নটিংহাম ফরেস্ট ও ওয়েস্ট ব্রমের মতো প্রথম সারির ক্লাবে খেলার সুযোগ পান। এমনকি ইংল্যান্ড আন্ডার-১৯ দলেও তিনি দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
তবে মাতৃত্বের কারণে তার ক্যারিয়ারে বিরতি আসে। পার্নেল বলেন, রেমায়া হওয়ার পর আমি ফুটবল থেকে বিরত ছিলাম, আর ভাবিনি যে আবার ফিরে আসব। কিন্তু ফুটবল কখনো সত্যিই হারিয়ে যায় না, এটি হৃদয়ে চিরকাল থাকে। এখন তাকে একই মাঠে দেখতে পারা একদম অবিশ্বাস্য।
মা ও মেয়ে উভয়েই স্ট্রাইকার এবং তারা একসঙ্গে স্কোরবোর্ডে নাম লিখিয়েছেন। হেডনসফোর্ডের এফএ কাপ দ্বিতীয় রাউন্ড কোয়ালিফাইং ম্যাচে পার্নেল তার কন্যার গোলেও অ্যাসিস্ট করেছিলেন। এই দলটি পূর্বে হিরফোর্ড ও এসজিআর ওয়ার্কসপকে পরাজিত করে এই পর্যায়ে পৌঁছেছে।
১৬ বছর বয়সী রেমায়া তার মায়ের সঙ্গে খেলার অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, আমরা একে অপরের সঙ্গে খুব সংযুক্ত। আমি তার ভাবনা বুঝতে পারি, সে আমার ভাবনা।
পার্নেলের সাবেক সহকর্মী এবং হেডনসফোর্ডের নারী দলের কোচ লরা হজকিস তাকে প্রশিক্ষণের জন্য ডাকেন। এরপর রেমায়া ১৬ বছরে পৌঁছলে তাকেও দলভুক্ত করা হয়, যা এই অসাধারণ জুটিকে একসঙ্গে খেলার সুযোগ এনে দেয়।



সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন