আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে বড় ব্যবধানে হার দিয়ে সিরিজ শুরু করল বাংলাদেশ। আইরিশদের দেওয়া ১৮২ রানের জবাবে ১৪২ রানে গিয়ে থামে বাংলাদেশের ইনিংস। এতে করে ৩৯ রানে জয় পায় পল স্টার্লিংয়ের দল।
প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশকে ১৮২ রানের টার্গেট দেয় আয়ারল্যান্ড। জবাবে ব্যাট হাতে ১৮ রান তুলতেই সাজঘরে চার ব্যাটার। শুরুতেই চার উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে লিটন দাসের দল।
এদিন টস জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক লিটন কুমার দাস। এ দিন হ্যারি টেক্টরের ফিফটিতে নির্ধারিত ২০ ওভার ব্যাট করে ১৮১ রানের সংগ্রহ পায় আইরিশরা।
জবাবে ব্যাটিংয়ে শুরুতেই ধাক্কা খায় টাইগাররা, দলীয় ২ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ১ রানে সাজঘরে ফেরে টাইগার ওপেনার তানজিদ তামিম। তামিম ফিরলে ব্যাট হাতে ক্রিজে আসে দলীয় অধিনায়ক লিটন দাস। ক্রিজে এসে মাত্র ৩ বল মোকাবিলা করে ক্যাচ আউট হয়ে বিদায় নেন টাইগার অধিনায়ক।
শুরুতে দুই উইকেট হারিয়ে দল যখন চাপে ঠিক তখনই দলীয় ৫ রানের মাথায় আবার উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে তখন পুরো চাপে টাইগার ব্যাটিং ইউনিট।
তখন বাংলাদেশের শেষ ভরসা ছিল সাইফ হাসান ও তাওহীদ হৃদয়। কিন্তু বেশিদূর না যেতেই দলীয় ১৮ রানের মাথায় দলকে বিপদে ফেলে সাজঘরে ফেরে সাইফ হাসান।
মাত্র ১৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে দল যখন পরাজয়ের দারপ্রান্তে সে সময়ে হৃদয় জাকেরের ব্যাটে কিছুটা আশা জাগিয়েও টিকল না তাদের জুটি। দলীয় ৬৬ রানের মাথায় জাকের আউট হলে শেষ হয় যায় আশা। জাকের ফেরার পর স্কোরবোর্ডে ৮ রান যোগ করতেই ফিরে যায় আরও ৩ ব্যাটার। স্কোরবোর্ডে বাংলাদেশের রান যখন ৭৪, সাজঘরে তখন ৮ ব্যাটার।
তবে এ দিন বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে সবাই আশা যাওয়ার মিছিলে থাকলেও একপাশ আগলে রেখেছিলেন তাওহীদ হৃদয়। ব্যাট হাতে তুলে নেন ব্যক্তিগত ৫ম অর্ধশতক। শেষ পর্যন্ত হৃদয়ের ফিফটিতে কিছুটা কমায় হারের ব্যবধান। এই পরাজয়ে ৩ ম্যাচে সিরিজে ১-০ তে পিছিয়ে গেল লিটন দাসের দল।
বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে ৫০ বলে ৩ ছক্কা ও ৭ চারে ৮৩ রানে অপরাজিত থাকেন তাওহীদ হৃদয়। এবং বল হাতে আইরিশদের হয়ে ৪টি উইকেট নেন ম্যাথু হামফ্রিস এবং ২টি করে উইকেট নেন মার্ক অ্যাডাইর ও ম্যাথু হামফ্রিস।
এর আগে, হ্যারি টেক্টরের ফিফটিতে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভার ব্যাট করে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৮১ রানের সংগ্রহ পায় আয়ারল্যান্ড। ব্যাট হাতে আইরিশদের হয়ে ৪৫ বলে ৬৯ রান করেন হ্যারি টেক্টর, ১৮ বলে ২১ রান করেন পল স্টার্লিং, ১৯ বলে ৩২ রান করেন টিম টেক্টর, ১৪ বলে ১৮ রান করেন লোরকান টাকার, ১৭ বলে ২৪ রান করেন কার্টিস ক্যাম্ফার।
বল হাতে বাংলাদেশের হয়ে ২টি উইকেট নেন তানজিম হাসান সাকিব এবং ১টি করে উইকেট নেন শরিফুল ও রিশাদ হোসেন।



সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন