লিভারপুলের তারকা উইঙ্গার মোহাম্মদ সালাহকে জানুয়ারিতে দলে নেয়ার পরিকল্পনা করছে সৌদি আরবের ক্লাব আল-হিলাল। সালাহ সম্প্রতি লিভারপুলের বিরুদ্ধে তার প্রকাশ্য বক্তব্যের মাধ্যমে ক্লাব ও ম্যানেজার আর্নে স্লটকে কটাক্ষ করেছেন।
৩৩ বছর বয়সী সালাহ বলেছেন, লিভারপুল আমাকে ‘বাসের নিচে ফেলে দিয়েছে।’ তিনি আরও ইঙ্গিত দিয়েছেন, ব্রাইটনের বিপক্ষে অনফিল্ডে খেলা তার শেষ ম্যাচ হতে পারে।
ব্রাইটনের ম্যাচের পরে সালাহ এই আফ্রিকা কাপ অব নেশনসের জন্য মিশরে যোগ দেবেন এবং জানুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত লিভারপুলে ফেরার সম্ভাবনা নেই।
সৌদি প্রো লিগের ক্লাবগুলো দীর্ঘদিন ধরে সালাহকে দলে নেয়ার আগ্রহ দেখিয়েছে। বিশেষ করে আল-হিলালকে সম্ভাব্য প্রধান ক্লাব হিসেবে ধরা হচ্ছে, যারা গত গ্রীষ্মে ডারউইন নুনেজকে লিভারপুল থেকে নিয়েছিল।
তবে লিভারপুলকে যে দামে দুই বছর আগে সৌদি ক্লাবগুলো অফার করেছিল, তার তুলনায় এখন দাম অনেক কম হতে পারে। সে-সময়ের তুলনায় বযস এখন আরও দ বছর বৃদ্ধি পেয়েছে সালাহর।
সালাহ আরও অভিযোগ করেছেন, লিভারপুলের কর্মকর্তারা নতুন দুই বছরের চুক্তি করার সময় যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা ভেঙে দিয়েছেন। সৌদি ক্লাবগুলো যদিও বড় তারকাদের জন্য অতিরিক্ত খরচ কমিয়েছে, সালাহকে আলাদা বিবেচনা করা হবে।
আল-হিলালের খেলোয়াড় নিয়োগ প্রক্রিয়া পরিচালনা করে প্লেয়ার আকুইজিশন সেন্টার অব এক্সেলেন্স (PACE), যার নেতৃত্বে রয়েছেন প্রাক্তন চেলসি পরিচালক মাইকেল এমেনালো।
এদিকে মধ্যপ্রাচ্য সূত্রের খবর, সালাহকে ‘এলিট ক্যাটাগরিতে’ ধরা হচ্ছে।
সালাহ সম্প্রতি বলেছেন, এখন এই বিষয়ে আমি কিছু বলতে চাই না। কারণ ক্লাব আমাকে অন্য দিকেই নিয়ে যাবে। গত বছর সালাহ প্রকাশ করেছিলেন, চুক্তি নবায়নের আগে তিনি সৌদি ক্লাবগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন।
আল-হিলালকে এই মাসে তাদের নন-ইইউ আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়দের এক জায়গা খালি করতে হবে যাতে সালাহকে দলে আনা যায়। সৌদি প্রো লিগের নিয়ম অনুযায়ী, প্রতিটি ক্লাব সর্বোচ্চ ৮ জন নন-ইইউ আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়কে রেজিস্টার করতে পারে।



সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন