গভীর রাতে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের নয়টি শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ভারত। এই সামরিক অভিযানে পাকিস্তানে অন্তত ২৬ জনের প্রাণহানি হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
তবে, এমন উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে জেলে বন্দী আছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোষ্টে কারাবন্দি ইমরান খানের পক্ষ থেকে বলা হয়, ইমরানই একমাত্র নেতা যিনি বহিঃশত্রুর মুখে পুরো জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারেন। তার মুক্তির দাবি জানিয়ে ওই পোষ্টে বলা হয়, এখনই সময় তার নেতৃত্বকে কাজে লাগানোর।
এর আগে ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর দুই দেশের মধ্যে যে সামরিক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল, তখনই জাতিসংঘে ভাষণ দেন ইমরান।
জাতিসংঘের মঞ্চে দেওয়া ঐ ভাষণে ইমরান বলেছিলেন, ‘যদি দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয় এবং একটি দেশ অপরটির তুলনায় অনেক ছোট হয়, তবে কি তারা আত্মসমর্পণ করবে, না কি শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত স্বাধীনতার জন্য লড়বে? আমি বিশ্বাস করি—‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’—আর আমরা শেষ পর্যন্ত লড়াই করব।’
এসময় তিনি সতর্ক করে বলেছিলেন, পারমাণবিক শক্তিধর দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ হলে, তার প্রভাব শুধু সীমান্তে সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়বে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (৬ মে) স্থানীয় সময় দিবাগত রাতে পাকিস্তানে হামলা চালায় ভারত। ভারতের এ হামলায় এখন পর্যন্ত পাকিস্তানে ২৬ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। পাকিস্তান এই হামলাকে ‘স্পষ্ট যুদ্ধ ঘোষণার কার্যক্রম’ বলে আখ্যায়িত করেছে।
ভারত বলছে, তারা পাকিস্তানের নয়টি স্থানে আঘাত করেছে, যেগুলো ‘সন্ত্রাসী অবকাঠামো’ হিসেবে চিহ্নিত। গত মাসে ভারতের কাশ্মীর অংশে সংঘটিত একটি প্রাণঘাতী হামলার প্রতিক্রিয়ায় এই হামলা হয়েছে।
এদিকে ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করেছেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ। এর পাশাপাশি কয়েকজন ভারতীয় সেনাকে যুদ্ধবন্দি হিসেবে আটকের দাবিও করেছেন তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :