লন্ডনের ঐতিহাসিক লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ (ডব্লিউটিসি) ফাইনালের তৃতীয় দিন শেষে দারুণ উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটার এইডেন মার্করাম ও অধিনায়ক তেম্বা বাভুমার দুর্দান্ত ব্যাটিং পারফরম্যান্স দলকে জয় থেকে মাত্র ৬৯ রানের দূরত্বে নিয়ে গেছে।
তৃতীয় দিনের খেলা শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ২১৩ রান ২ উইকেট হারিয়ে, অজিদের বিপক্ষে ইতিহাস গড়ার স্বপ্নের চেয়ে এক পা দূরে দাঁড়িয়ে রয়েছে তারা।
দলটির ব্যাটিং কোচ অ্যাশওয়েল প্রিন্স জানিয়েছেন, ‘এটা আমাদের দেশের জন্য বিশাল অর্জন হতে পারে। আগেও ভালো দল থাকা সত্ত্বেও আমরা বড় শিরোপা জিততে পারিনি।
এবার ছেলেরা বিশ্বাস রাখছে এবং সাহস নিয়ে খেলছে।’
মার্করাম ১০২ রানে অপরাজিত, বাভুমা খেলছেন ৬৫ রানে, যদিও তিনি হ্যামস্ট্রিং ইনজুরিতে ভুগছেন। তবু তিনি মাঠ ছাড়তে রাজি হননি।
প্রিন্স বলছেন, ‘টি-ব্রেকের সময় সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল সে খেলবে কি না। তেম্বা নিজেই বলেছে, ‘আমি লড়ব’। হয়তো এটাই তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় মুহূর্ত হতে চলেছে।’
অন্যদিকে, ফাইনাল ম্যাচ নিয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে এর আয়োজক দেশও।
বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়ার (বিসিসিআই) চাওয়ার পরও, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) জানিয়েছে ইংল্যান্ডেই আগামী তিনটি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল আয়োজনের সম্ভাবনা প্রবল।
আইসিসির চেয়ারম্যান জয় শাহ লর্ডসেই উপস্থিত থেকে আয়োজনের মান ও দর্শকদের সাড়া দেখে মুগ্ধ হয়েছেন। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আগামী মাসে সিঙ্গাপুরে আইসিসির বার্ষিক সম্মেলনে অনুমোদন পাবে।
ইংল্যান্ডের আবহাওয়া ও নিরপেক্ষ ম্যাচে গ্যালারি ভরানোর সক্ষমতা এই সিদ্ধান্তে বড় ভূমিকা রেখেছে।
ভারত যদি আয়োজক হতো, তবে পাকিস্তান ফাইনালে উঠলে রাজনৈতিক কারণে ম্যাচ সরিয়ে নিতে হতো এ আশঙ্কাও আছে।
তৃতীয় দিনের শুরুর দিকে মিচেল স্টার্ক ও জশ হ্যাজলউডের ৫৯ রানের লাস্ট উইকেট জুটি দক্ষিণ আফ্রিকাকে চাপে ফেললেও, পরে সেটিকে অনুপ্রেরণায় রূপ দেন কোচ প্রিন্স।
অন্যদিকে, অস্ট্রেলিয়ার সহকারী কোচ ড্যানিয়েল ভেটোরি বলছেন, ‘বাভুমা-মার্করামের ব্যাটিং ছিল চমৎকার। আমাদের জয়ের সম্ভাবনা এখন অনেক কম।’
আজ চতুর্থ দিন সকালে দ্রুত কয়েকটি উইকেট তুলে নেওয়া ছাড়া অজিদের সামনে আর কোনো বিকল্প নেই। এদিকে দক্ষিণ আফ্রিকা তাকিয়ে আছে ১৯৯৮ সালের পর প্রথম আইসিসি ট্রফির দিকে।
