আগামীকাল ২৫ বছর পূর্ণ হচ্ছে বাংলাদেশের টেস্ট মর্যাদা প্রাপ্তির। দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে টেস্ট খেললেও জয়ের চেয়ে পরাজয়ের পাল্লাই বেশি ভারী হয়েছে টাইগারদের।
এই ব্যর্থতার মূলে রয়েছে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের দুর্বল অবকাঠামো এবং মাঠ ব্যবস্থাপনার সমস্যা।
তবে টেস্ট মর্যাদার রজতজয়ন্তী উপলক্ষে দেশের ক্রিকেটে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচনের নতুন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল ধানমন্ডির রিয়া গোপী নারী স্পোর্টস কমপ্লেক্সে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় দেশের ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে তার দৃঢ় প্রতিজ্ঞার কথা জানান।
তিনি বলেন, ২৫ বছর পেরিয়ে আমরা এবার প্রথমবারের মতো একটি বড় আয়োজন করছি। এই প্রোগ্রামটি মূলত দুটি কারণে করা হচ্ছে।
এক, টেস্ট ক্রিকেটের ২৫ বছর পূর্তি উদযাপন। দুই, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যেখানে ক্রিকেট কার্যত ঘুমিয়ে ছিল, সেগুলোকে একটা ‘ওয়েকআপ কল’ দেওয়া।
ক্রিকেট বিকেন্দ্রীকরণের দীর্ঘদিনের প্রতিশ্রুতির কথা তুলে ধরে বুলবুল জানান, এবারের প্রেক্ষাপট ভিন্ন এবং বাস্তবায়নের পথে বেশ কিছু কার্যকর উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে।
তিনি দেশের সব জেলায় ক্রিকেট উইকেট হিসেবে সিনথেটিক টার্ফ বসানোর পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। তার মতে, আমাদের ৬৪ জেলায় ৬৪ জন কোচ রয়েছেন।
তারা কী অবস্থায় আছেন, সেটি মূল্যায়নের মধ্য দিয়ে আমরা ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ দেখছি। মিরপুরে বসে সারাদেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই মাঠপর্যায়ে কাজ করার মতো শক্তিশালী কোচ তৈরি করতে চাই।
যেন তারা উপজেলা পর্যায়েও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেন এবং সেই কার্যকারিতা আমরা ভবিষ্যতে জাতীয় দলে দেখতে পাই।
সিনথেটিক টার্ফ ব্যবহারের ফলে একই মাঠে ক্রিকেট ও ফুটবল উভয় খেলা চালানো সম্ভব হবে, যা আলাদা জায়গার প্রয়োজন কমাবে এবং খরচও কমিয়ে আনবে বলে মনে করেন বুলবুল।
বোর্ডের অতীত কর্মকাণ্ড নিয়ে বিতর্কে না গিয়ে ভবিষ্যতের জন্য একটি টেকসই ও কার্যকর কাঠামো গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বুলবুল। তিনি বলেন, আমরা এমন একটি মানদণ্ড তৈরি করতে চাই, যা পরবর্তীতে যারা আসবেন, তারা অনুসরণ করতে পারবেন।
আমরা কেউই স্থায়ী না। তবে ক্রিকেটের উন্নয়নের জন্য একটি শক্ত ভিত গড়ে যেতে চাই।
টেস্ট ক্রিকেটের গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করে বিসিবি সভাপতি বলেন, টেস্ট ক্রিকেটই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় পরিচয়। টেস্ট খেলেই বাংলাদেশ আইসিসির পূর্ণ সদস্য হয়েছে।
এই সংস্করণটিকে আমরা আরও বেশি গুরুত্ব দিয়ে এগিয়ে নিতে চাই। টেস্ট ক্রিকেটে যে উন্মাদনা, ক্রিকেটের প্রতি মানুষের যে ভালোবাসা এবং ক্রিকেটার হওয়ার যে স্বপ্ন এসব বিষয়কে সামনে রেখেই আমরা কাজ করছি এবং সফলভাবেই এগিয়ে চলেছি।