ক্রিকেট ইতিহাসের পাতা ঘাঁটলে দেখা যায়, ২৬ জুলাই ছিলো নানা রোমাঞ্চকর, তাৎপর্যপূর্ণ ও ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী। কখনো বোলারের সঙ্গে ব্যাটসম্যানের লড়াই, কখনো বিতর্কিত আম্পায়ারিং, আবার কখনো রেকর্ডবুকে নতুন নাম—সবকিছুর মিশে আছে এই দিনে।
চলুন ফিরে দেখা যাক আজকের দিনে ঘটে যাওয়া কিছু উল্লেখযোগ্য ক্রিকেটীয় মুহূর্ত।
আথারটন বনাম ডোনাল্ড মহারণ (১৯৯৮)
ট্রেন্ট ব্রিজে ১৯৯৮ সালে ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার টেস্টে মাইক আথারটন ও অ্যালান ডোনাল্ডের মধ্যকার লড়াই ছিল টেস্ট ইতিহাসের অন্যতম সেরা এক অধ্যায়।
চারদিক ঘিরে তীব্র উত্তেজনা, ডোনাল্ডের আক্রমণাত্মক বোলিং, আর আথারটনের অদম্য ধৈর্যের সম্মিলন ঘটেছিল এখানে।
এক পর্যায়ে আথারটনের স্কোর ২৭ থাকতেই একটি ক্যাচ মিস করেন উইকেটরক্ষক বাউচার। আথারটন দাঁড়িয়ে যান ৯৮ রানে অপরাজিত, আর ইংল্যান্ড সিরিজে সমতা ফেরায়।
বিতর্কিত সিদ্ধান্ত (১৯৯২)
হেডিংলিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের জয়ে ছায়া ফেলেছিল আম্পায়ারিং বিতর্ক। রানআউট হওয়ার পর ব্যাটসম্যান গ্রাহাম গুচ বেঁচে যান, আর তিনি খেলেন ৩৭ রানের ইনিংস।
যদিও স্কোরবোর্ডে জয় সহজ মনে হলেও, পাকিস্তানের সেলিম মালিকের ৮২ ও ৮৪ রানের অপরাজিত ইনিংস এবং ওয়াকার ইউনুসের রিভার্স সুইংয়ে ধসে পড়া ইংল্যান্ডের ইনিংস ছিল অনন্য এক নাটক।
অ্যাশেজ হার, অধিনায়কত্ব ছাড়লেন গুচ (১৯৯৩)
১৯৯৩ সালে হেডিংলিতেই আবারো হারে ইংল্যান্ড, আর অস্ট্রেলিয়া ফিরে পায় অ্যাশেজ। অ্যালান বর্ডারের ২০০ রানের অপরাজিত ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া তোলে ৬৫৩/৪।
সেই টেস্টেই মাত্র চার উইকেট হারিয়ে ইনিংসে জিতে যায় অজিরা। ইংল্যান্ডের অধিনায়ক গ্রাহাম গুচ এরপর পদত্যাগ করেন।
তার স্থলাভিষিক্ত হন মাত্র ২৫ বছর বয়সী মাইক আথারটন।
টি-টোয়েন্টিতে ইতিহাস গড়েন মালয়েশিয়ান পেসার (২০২৩)
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এশিয়া কোয়ালিফায়ারে চীনকে ২৩ রানে অলআউট করে দেয় মালয়েশিয়া। আর সে ম্যাচেই ইতিহাস গড়েন মিডিয়াম পেসার সায়াজরুল ইদরুস।
তিনি মাত্র ৮ রানে ৭ উইকেট শিকার করেন, যা পুরুষদের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে প্রথম।
১৮৫৮: টম গ্যারেটের জন্ম
১৮৫৮ সালের এই দিনে জন্মেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার অলরাউন্ডার টম গ্যারেট। মাত্র ১৮ বছর বয়সে তিনি খেলেছিলেন ১৮৭৭ সালের প্রথম টেস্টে।
সেই ম্যাচের সবচেয়ে কনিষ্ঠ খেলোয়াড় ছিলেন তিনি।
ভারতীয় অলরাউন্ডার রামচাঁদের জন্ম (১৯২৭)
১৯২৭ সালে জন্ম নেওয়া জিএস রামচাঁদ ভারতের হয়ে খেলেছেন ৩৩টি টেস্ট। নিয়েছেন ৪১ উইকেট ও করেছেন দুটি সেঞ্চুরি।
বাংলাদেশি ক্রিকেটার খালেদ মাহমুদের জন্মদিন (১৯৭১)
বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে ২৬ জুলাই এক গুরুত্বপূর্ণ দিন। কারণ ১৯৭১ সালের এই দিনে জন্মগ্রহণ করেন খালেদ মাহমুদ। ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে হারানোর ঐতিহাসিক ম্যাচে তিন উইকেট শিকার করেন তিনি।
তার নেতৃত্বে ২০০৩ সালে বাংলাদেশ খেলেছিল ইংল্যান্ড সফর। ২০০৬ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানান এই অলরাউন্ডার।
আম্পায়ার ফ্র্যাংক চেস্টারের বিদায় (১৯৫৫)
১৯৫৫ সালের এই দিনেই শেষবারের মতো টেস্টে আম্পায়ারিং করেন ইংল্যান্ডের বিখ্যাত আম্পায়ার ফ্র্যাংক চেস্টার। ১৯২৪ সালে শুরু করে ৪৮টি টেস্ট পরিচালনা করেন তিনি।

 
                             
                                    



 সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন 
                                     
                                     
                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                             
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
       -20251025002118.webp) 
        
        
        
        
        
        
       
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন