তিন দশক পর ঐতিহাসিক সিরিজ জয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ত্রিনিদাদে পাকিস্তানের বিপক্ষে ২৯৪ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মাত্র ৯২ রানে গুটিয়ে যায় সফরকারীরা। এতে ২০২ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
এই জয়ের মধ্য দিয়ে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতে নেয় ক্যারিবীয়রা।
১৯৯১ সালের পর পাকিস্তানের বিপক্ষে এটি ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ওয়ানডে সিরিজ জয়। এই জয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তরুণ পেসার জেডেন সিলস। দুর্দান্ত বোলিংয়ে তিনি একাই গুঁড়িয়ে দিয়েছেন পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপ।
টস জিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানায় পাকিস্তান। শুরুটা অবশ্য ভালো ছিল না স্বাগতিকদের। মাত্র ৬৮ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে সেখান থেকে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক শাই হোপ ও রোস্টন চেজ।
চতুর্থ উইকেটে তাদের জুটিতে আসে ১৩৬ রান। চেজ ৫২ রান করে আউট হওয়ার পর ক্রিজে আসেন জাস্টিন গ্রিভস। শাই হোপের সঙ্গে তার অবিচ্ছিন্ন জুটিতে মাত্র ৮.১ ওভারে ১১০ রান যোগ হয়।
এদিন শাই হোপ ১০টি চার ও ৫টি ছক্কায় ১২০ রান করে অপরাজিত থাকেন। এটি তার ক্যারিয়ারের ১৮তম সেঞ্চুরি। এর মাধ্যমে তিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির তালিকায় ব্রায়ান লারা ও ক্রিস গেইলের পরেই জায়গা করে নিলেন।
জাস্টিন গ্রিভস মাত্র ২৪ বলে ৪৩ রানের এক ঝড়ো ইনিংস খেলেন। ৫০ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ২৯৪ রান।
২৯৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় পাকিস্তান। পেসার জেডেন সিলসের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি পাকিস্তানের কোনো ব্যাটার।
প্রথম স্পেলেই তিনি ফিরিয়ে দেন সাইম আইয়ুব, আবদুল্লাহ শফিক এবং মোহাম্মদ রিজওয়ানকে। এরপর বাবর আজমকেও এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন তিনি।
সিলস তার দ্বিতীয় স্পেলে হাসান আলী ও নাসিম শাহকে আউট করে তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ফিগার (১৮ রানে ৬ উইকেট) নিয়ে ম্যাচ শেষ করেন।