বাংলাদেশ ক্রিকেটে এবার যুক্ত হলো অত্যাধুনিক এক প্রযুক্তি—প্রোভেলসিটি ব্যাট। দেখতে সাধারণ ব্যাটের মতো না হলেও, এই বিশেষ সরঞ্জামটি খেলোয়াড়দের পাওয়ার-হিটিং দক্ষতা বাড়াতে নতুন মাত্রা যোগ করছে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত পাওয়ার-হিটিং কোচ জুলিয়ান উড তার অভিনব প্রশিক্ষণ পদ্ধতির অংশ হিসেবে এই ব্যাটটি নিয়ে এসেছেন, যা ইতিমধ্যে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
সম্প্রতি বিসিবি প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা যায়, বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক লিটন দাস এই প্রোভেলসিটি ব্যাট হাতে শ্যাডো ব্যাটিং অনুশীলন করছেন।
ড্রাইভ, স্কয়ার কাট, পুল—সব ধরনের শটই তিনি খেলছিলেন। প্রতিটি শটের সঙ্গেই শোনা যাচ্ছিল বিশেষ ধরনের শব্দ, যা এই ব্যাটের কার্যকারিতা প্রমাণ করে।
প্রযুক্তিটি কীভাবে কাজ করে?
প্রোভেলসিটি ব্যাটের মূল রহস্য লুকিয়ে আছে এর ভেতরে থাকা আটটি রেজিস্ট্যান্স ব্যান্ডে। এই ব্যান্ডগুলো ব্যাটের ব্যারেলকে সহজে ঘুরতে বাধা দেয়। এর ফলে খেলোয়াড়দের হ্যান্ড-আই কো-অর্ডিনেশন এবং সঠিক সুইং মেকানিক্স উন্নত হয়।
যখন কোনো ব্যাটসম্যান যথেষ্ট গতিতে এবং সঠিক কৌশলে ব্যাট চালান, তখন দুটি ক্লিক শব্দ শোনা যায়। এটি বোঝায় যে তার ব্যাট স্পিড এবং শক্তি উভয়ই যথাযথ। আর যদি শুধুমাত্র একটি ক্লিক শব্দ হয়, তাহলে বুঝতে হবে শটটি পূর্ণ শক্তি দিয়ে খেলা হয়নি।
বাংলাদেশের নারী দলের ব্যাটিং কোচ নাসিরউদ্দিন ফারুক এই নতুন পদ্ধতি নিয়ে আশাবাদী। তিনি জানান, এ পদ্ধতিটা সম্পূর্ণ নতুন। আগে আমরা নেটে বল বা মেশিনে ব্যাটিং অনুশীলন করতাম, কিন্তু এভাবে কাজ করিনি।
তিনি আরও বলেন, এই অনুশীলন নিয়মিত করলে ব্যাটসম্যানদের সুইং আরও নিখুঁত হবে, বিশেষ করে ডেথ ওভারে শক্তিশালী শট খেলার জন্য এটি দারুণ সহায়ক।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন