শনিবার, ২৮ জুন, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুন ২৮, ২০২৫, ০৬:০৭ পিএম

‘গৃহকর্মীদের অধিকার সুরক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপের দাবি’

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুন ২৮, ২০২৫, ০৬:০৭ পিএম

‘গৃহশ্রমিকদের অধিকার ও মানবাধিকার’ শীর্ষক গোল টেবিল আলোচনা । ছবি- সংগৃহীত

‘গৃহশ্রমিকদের অধিকার ও মানবাধিকার’ শীর্ষক গোল টেবিল আলোচনা । ছবি- সংগৃহীত

দেশের লাখো গৃহশ্রমিক কর্মক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা, নিরাপত্তাহীনতা ও ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। শ্রমজীবী হলেও তাদের নেই কোনো আইনি স্বীকৃতি, সুনির্দিষ্ট কর্মঘণ্টা বা নির্ধারিত মজুরি।

এই প্রেক্ষাপটে গৃহশ্রমিকদের অধিকার রক্ষা ও ‘গৃহশ্রমিক সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি ২০১৫’ কার্যকর করার দাবিতে এক গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করে আশার আলো সোসাইটি।

শনিবার (২৮ জুন) রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে আয়োজিত এক গোলটেবিল আলোচনা ও মিডিয়া ক্যাম্পেইনে এই দাবি জানানো হয়।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তায় ও অক্সফাম ইন বাংলাদেশের অর্থায়নে আয়োজিত এ কর্মসূচির বিষয় ছিল ‘গৃহশ্রমিকদের অধিকার ও মানবাধিকার’।

আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা বলেন, দেশের গৃহশ্রমিকরা এখনও শ্রমিক হিসেবে আইনগত স্বীকৃতি পাননি। শ্রম আইন ২০০৬-এর আওতায় তারা অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় তাদের সুনির্দিষ্ট অধিকার নেই। নিয়োগপত্র, সুনির্দিষ্ট কর্মঘণ্টা, ছুটি কিংবা ন্যায্য মজুরি,এসব মৌলিক সুবিধা থেকেও তারা বঞ্চিত।

বক্তারা আরও জানান, বেশিরভাগ গৃহশ্রমিক ও নিয়োগকারীই ‘গৃহশ্রমিক সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি ২০১৫’ সম্পর্কে সচেতন নন। ফলে নীতি থাকলেও বাস্তবায়ন হচ্ছে না, আর গৃহশ্রমিকদের নিপীড়ন, হয়রানি ও শোষণের পথ বন্ধ হচ্ছে না।

সভায় গৃহশ্রমিকদের সুরক্ষায় যেসব দাবি উত্থাপিত হয়, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য, মাসিক কর্মঘণ্টার ভিত্তিতে সর্বনিম্ন মজুরি নির্ধারণ ও সময়মতো পরিশোধ নিশ্চিতকরণ। সাপ্তাহিক, উৎসব ও অসুস্থতাজনিত ছুটির আইনগত নিশ্চয়তা। গৃহশ্রমিকদের ওপর নির্যাতনের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত করা। তথ্য সহায়তা ও অভিযোগ জানাতে পৃথক হেল্পলাইন এবং হেল্পডেস্ক স্থাপন।

বক্তারা বলেন, সরকার ২০১৫ সালে নীতি প্রণয়ন করলেও এর জন্য প্রয়োজনীয় আইন ও বাস্তবায়ন কাঠামো এখনও তৈরি হয়নি। শ্রম মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি মনিটরিং সেল থাকলেও তা কার্যকরভাবে কাজ করছে না।

তারা আরও জানান, ‘বাংলাদেশ সরকার আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) কনভেনশন-১৮৯-এ স্বাক্ষর করলেও তা এখনো অনুসমর্থন করেনি। ফলে গৃহশ্রমিকরা শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হলেও আইনগত সহায়তা পেতে নানা জটিলতার সম্মুখীন হন।’

আশার আলো সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক আ. রহমান বলেন, “আমরা শুধু এইচআইভি আক্রান্ত মানুষের সেবায় নয়, বরং সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করছি।”

গোলটেবিল আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সাংবাদিক কুদরাত-ই-খোদা, জাতীয় গৃহকর্মী ফোরামের সভাপতি জাকিয়া সুলতানা, নারী ও শিশু উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মোছা. মমতাজ আরা ব্যোম, গৃহকর্মী নেতা নাজমা আক্তার ও নাজমা বেগম, গৃহশ্রমিক জান্নাতুল ফেরদৌসী ও রাবেয়া খাতুন এবং নিয়োগকর্তা অঞ্জনা আক্তার প্রমুখ।

Link copied!