টানা সাড়ে তিন বছর ধরের আক্রমণে ইউক্রেনের বেশ কিছু অঞ্চল দখলে নিয়েছে রাশিয়া। এবার শুধু কিছু অঞ্চলই নয়, বরং ইউক্রেনের পুরো ভূখণ্ড দখলে নিতে চান বলে জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। গত ২০ জুন সেন্ট পিটার্সবার্গ অর্থনৈতিক ফোরামে পুতিন এমন মন্তব্য করেন। খবর আল-জাজিরার।
পুতিন বলেন, ‘আমি বহুবার বলেছি, রুশ ও ইউক্রেনীয় জনগণ এক জাতি। এই দৃষ্টিকোণ থেকে পুরো ইউক্রেনই আমাদের। যেখানে রুশ সেনারা পা রাখে, তা আমাদের।’
রুশি প্রেসিডেন্টের এমন মন্তব্যের জবাবে ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রিই সিবিহা বলেন, ‘যেখানে রুশ সেনা যায় সেখানেই তারা নিয়ে আসে মৃত্যু, ধ্বংস আর বিভীষিকা।’
এছাড়া ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ম্যাসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে এক পোস্টে বলেন, ‘পুতিন এবার সম্পূর্ণ খোলামেলাভাবে বলেছেন তিনি শুধু ইউক্রেনই নয়, বেলারুশ, বাল্টিক রাষ্ট্র, মলদোভা, ককেশাস এবং কাজাখস্তানের দিকেও নজর দিয়েছেন।’
জার্মানির সেনাবাহিনীর কৌশলগত প্রতিবেদনেও পুতিনের সম্প্রসারণবাদী মনোভাবকে অস্তিত্বগত হুমকি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে, ইউরোপীয় দেশগুলো ও কানাডা ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা আরও বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা স্থগিত থাকার ঘাটতি পূরণে ভূমিকা রাখবে।
ন্যাটোর মহাসচিব মার্ক রুটে জানান, ২০২৪ সালের প্রথম ছয় মাসেই ইউরোপ ও কানাডা মিলে ইউক্রেনকে ৩৫ বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা দিয়েছে, যা গত বছরের পুরো পরিমাণ ৫০ বিলিয়নের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে।
অন্যদিকে ট্রাম্প প্রশাসন এখনো পর্যন্ত সামরিক সহায়তা তেমনভাবে শুরু না করলেও, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ‘প্যাট্রিয়ট’ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। ট্রাম্প জানান, কিছু সরঞ্জাম দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে, তবে এগুলো খুবই দুর্লভ এবং বর্তমানে ইসরাইলকেও সরবরাহ করা হচ্ছে।
রাশিয়া স্পষ্ট করে জানিয়েছে, অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ না হলে যুদ্ধবিরতি সম্ভব নয়। শনিবার ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সেই শর্ত পুনরায় উল্লেখ করেন।
আপনার মতামত লিখুন :