ফরাসি ক্লাব প্যারিস সেন্ট জার্মেইনের (পিএসজি) চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের উদযাপনে ফ্রান্সজুড়ে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় দুজন নিহত এবং অন্তত ১৯২ জন আহত হয়েছেন।
ফ্রান্সের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ সহিংসতায় ৫০০ জনেরও বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শনিবার (৩১ মে) রাতে পিএসজি ইতালীয় ক্লাব ইন্টার মিলানকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা নিজেদের ঘরে তোলে।
এরপর ফরাসি রাজধানী প্যারিসসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আনন্দ-উল্লাস শুরু হয়। কিন্তু পুলিশের সঙ্গে সমর্থকদের সংঘর্ষে সেই আনন্দ দ্রুতই ম্লান হয়ে যায়।
অভ্যন্তরীণ মন্ত্রণালয়ের রোববার সকালের তথ্য অনুযায়ী, এ ঘটনায় মোট ৫৫৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যার মধ্যে প্যারিসেই ৪৯১ জন।
এদের মধ্যে ৩২০ জনকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে ২৫৪ জন প্যারিসের।
এর আগে পিএসজির শিরোপা নিশ্চিত হওয়ার পর প্যারিসের চ্যাম্পস-ইলিসেস অ্যাভিনিউতে বিশাল শোভাযাত্রা শুরু হয়। এটি আর্ক দ্য ট্রায়ম্প এলাকায় পৌঁছাতেই সমর্থকদের একটি অংশ বিশৃঙ্খল হয়ে ওঠে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে জলকামান ব্যবহার করতে হয়। পুলিশ জানিয়েছে, সমর্থকদের একটি উগ্র অংশ পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে তাদের মুখোমুখি হওয়ার চেষ্টা করে এবং চ্যাম্পস এলিসেস-এ বাসস্টপ ভাঙচুর করে। তারা দাঙ্গা পুলিশের দিকে বিভিন্ন বস্তু ছুড়ে মারে।
এমন উত্তেজনাপূর্ণ মুহূর্তে সমর্থকদের মধ্যে কেউ কারো কথা শুনতে প্রস্তুত ছিল না। দে লা বাস্তিলে এলাকায় সমর্থকরা বড় বড় স্থাপনার ওপরে উঠে গান, নৃত্য এবং আতশবাজি পোড়ায়।
সড়কে মোটরসাইকেলের উচ্চ শব্দ তুলে উল্লাস চলছিল এবং আশপাশ থেকে বাকিরা তাতে উৎসাহ যোগাচ্ছিল।
এ ছাড়া আরও কিছু এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার এক পর্যায়ে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে।
অভ্যন্তরীণ মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, এই সহিংসতায় অনেক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, যার মধ্যে ২০০টিরও বেশি যানবাহন পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়াও নিরাপত্তা বাহিনীর ২২ সদস্য এবং ৭ জন ফায়ারফাইটার আহত হয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন :