২০২৪–২৫ মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগে শিরোপা জিতে সেরা দলের স্বীকৃতি পেয়েছে প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি)। তবে শিরোপার বাইরে থেকেও অনেক ফুটবলার ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে আলো ছড়িয়েছেন।
পুরো মৌসুমের পারফরম্যান্স বিচার করে গঠিত হয়েছে চ্যাম্পিয়নস লিগের ‘সিজনস সেরা একাদশ’।
সেখানে জায়গা পেয়েছেন একদিকে যেমন পিএসজির আধিপত্যের প্রতিচ্ছবি, তেমনি তরুণ বিস্ময় লামিন ইয়ামাল বা আর্সেনালের ডেক্লান রাইসের মতো দাপুটে খেলোয়াড়রাও।
গোলরক্ষক
জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা (পিএসজি) আবারও প্রমাণ করেছেন কেন তাঁকে বিশ্বের সেরা গোলরক্ষক বলা হয়। এডারসন, আলিসনদের ছাড়িয়ে ফাইনালে ইয়ান সোমারকে পরাজিত করা তাঁর অনন্য দক্ষতার নিদর্শন।
রক্ষণভাগ
দুই প্রান্তে পিএসজির হাকিমি ও নুনো মেন্ডেস ছিলেন দুর্দান্ত। সেমিফাইনালে ইন্টার মিলানের দেনজেল ডামফ্রিসের মতো তারকাকে নিস্তেজ রাখেন মেন্ডেস।
সেন্টারব্যাকে উজ্জ্বল ছিলেন ইকুয়েডরের উইলিয়ান পাচো (পিএসজি), যিনি সবচেয়ে বেশি বল কেড়ে নিয়েছেন (১২৪ বার)।
তার সঙ্গী হিসেবে ছিলেন ইন্টারের আলেস্সান্দ্রো বাস্তোনি, যিনি দল হারলেও গ্রুপ পর্বে ছিলেন দুর্ভেদ্য।
মধ্যমাঠ
পিএসজির নতুন সম্পদ হিবিসে পরিণত হওয়া হোয়াও নেভেস নিজের পারফরম্যান্স দিয়ে দলে জায়গা করে নিয়েছেন। আর্সেনালের ডেক্লান রাইস রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে তাঁর দাপুটে ফুটবল দিয়ে নজর কেড়েছেন।
বার্সেলোনার পেদ্রি আবারও প্রমাণ করেছেন কেন তাঁকে নতুন ইনিয়েস্তা বলা হয়।
আক্রমণভাগ
পিএসজির উসমান ডেম্বেলে এবং জানুয়ারিতে যোগ দেওয়া জর্জিয়ার খভিচা এক কথায় বিধ্বংসী ছিলেন। তবে সবার নজর কাড়েন বার্সেলোনার ১৭ বছর বয়সী লামিন ইয়ামাল।
তাঁর পা থেকে আসা গোল ও বল নিয়ে দৌড় ‘আগামী দিনের রোনালদো’ তকমা এনে দিয়েছে অনেকের চোখে।
সেরা একাদশের বিকল্প তালিকা
এমি মার্টিনেজ (অ্যাস্টন ভিলা), ডেনজেল ডামফ্রিস (ইন্টার), রাফিনহা (বার্সা), সেরহু গিরাসি (ডর্টমুন্ড), এবং চূড়ান্ত ম্যাচে দুটি গোল করে বাজিমাত করা পিএসজির দেজিরে দুয়ে।
আপনার মতামত লিখুন :