বুধবার, ১৬ জুলাই, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশিত: জুলাই ৮, ২০২৫, ০৩:৫২ পিএম

ফুটবলারের পায়ে ছাতা দিয়ে বাঁধা হলো ব্যান্ডেজ

স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশিত: জুলাই ৮, ২০২৫, ০৩:৫২ পিএম

পায়ে ব্যান্ডেজ বাঁধার জন্য ছাতা ব্যবহার করা হয় এবং তাকে মাঠের বাইরে নিয়ে যেতে রীতিমতো বেগ পেতে হয়। ছবি- সংগৃহীত

পায়ে ব্যান্ডেজ বাঁধার জন্য ছাতা ব্যবহার করা হয় এবং তাকে মাঠের বাইরে নিয়ে যেতে রীতিমতো বেগ পেতে হয়। ছবি- সংগৃহীত

কলকাতা লিগে সোমবার ব্যারাকপুর স্টেডিয়ামে রেলওয়েকে ২-০ গোলে হারিয়ে দাপুটে ফর্মে ফিরেছে মোহনবাগান। তবে ম্যাচের ফলাফল ছাপিয়ে আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছে খেলার মাঠে চিকিৎসার অব্যবস্থা।

রেলওয়ের ফুটবলার তারক হেমব্রমের গুরুতর চোট পাওয়ার পর ন্যূনতম চিকিৎসা পরিষেবা না মেলায় আয়োজকদের ভূমিকা নিয়ে তীব্র প্রশ্ন উঠেছে।

ম্যাচের শুরু থেকেই কর্দমাক্ত মাঠে বল নিয়ন্ত্রণ করতে দুদলের ফুটবলারদেরই সমস্যা হচ্ছিল। প্রথমার্ধেই মোহনবাগান এগিয়ে যায় রেলওয়ের গোলকিপার সুদীপ্ত ঘোষের ভুলের সুবাদে। সালাউদ্দিন সুদীপ্তের কাছ থেকে বল কেড়ে নিলে সন্দীপ মালিক ফাঁকা পোস্টে বল জড়িয়ে দেন।

দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের উত্তেজনা আরও বাড়ে। শারীরিক সংঘর্ষের পরিমাণ এতটাই বেড়ে যায় যে রেফারিকে মোট তিনটি লাল কার্ড এবং একাধিক হলুদ কার্ড দেখাতে হয়।

মোহনবাগানের সালাউদ্দিন ও রেলওয়ের দুই খেলোয়াড় সুদীপ্ত ও সন্দীপ লাল কার্ড দেখেন। খেলা কিছু সময়ের জন্য বন্ধও থাকে। শেষদিকে ১০ জনের মোহনবাগান এবং ৯ জনের রেলওয়ের মধ্যে ব্যবধান আরও বাড়িয়ে দেন পরিবর্ত ফুটবলার শিবম মুন্ডা।

ম্যাচের প্রথমার্ধেই বড় ধাক্কা খায় রেলওয়ে। সংঘর্ষে গুরুতর চোট পান মিডফিল্ডার তারক হেমব্রম। মাঠেই বোঝা যাচ্ছিল চোট গুরুতর, কিন্তু তাকে মাঠ থেকে সরানোর বা প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার কোনো পেশাদার ব্যবস্থা দেখা যায়নি।

সবচেয়ে হতাশাজনক ঘটনাটি ছিল, তারকের পায়ে ব্যান্ডেজ বাঁধার জন্য ছাতা ব্যবহার করা হয় এবং তাকে মাঠের বাইরে নিয়ে যেতে রীতিমতো বেগ পেতে হয়।

এই ঘটনার ছবি দ্রুত সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়, যা দেখে ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।

প্রাথমিকভাবে তারককে ঢাকুরিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও, মাঠে থাকা একমাত্র অ্যাম্বুল্যান্স সরাতে ভয় পাচ্ছিলেন আয়োজকরা।

পরবর্তীতে দ্বিতীয় একটি অ্যাম্বুল্যান্সের জন্য অপেক্ষা করতে হয়, যা আসতেও অনেকটা সময় নেয়। অবশেষে তারককে হাসপাতালে ভর্তি করানো হলেও এই ঘটনাটি কলকাতা লিগের মতো একটি বড় টুর্নামেন্টে চিকিৎসার মান নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।

রূপালী বাংলাদেশ

Shera Lather
Link copied!