ফুটবল বিশ্বের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার আর্লিং হালান্ডকে দলে ভেড়ানোর জন্য একসময় জোর গুঞ্জন ছিল জার্মান ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই তারকাকে দলে টানতে পারেনি তারা।
সম্প্রতি জার্মান সংবাদমাধ্যম বিল্ডের ফুটবল প্রধান ক্রিশ্চিয়ান ফাল্ক তার নতুন বই ‘ট্রান্সফার ইনসাইডার’-এ ফাঁস করেছেন বায়ার্নের সেই ব্যর্থতার গোপন গল্প।
ঘটনাটি ২০২১ সালের ৭ই মার্চের। সেদিন বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের হয়ে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ৪-২ গোলে হেরেছিল হালান্ডের দল। ম্যাচের পরদিনই বায়ার্নের তৎকালীন ক্রীড়া পরিচালক হাসান সালিহামিজিচ হালান্ডে এজেন্ট মিনো রাইওলাকে বলেন, ‘আমাদের কথা বলতে হবে।’
এরপরই শুরু হয় গোপন আলোচনার পালা। হালান্ডকে বায়ার্নের প্রধান কর্মকর্তার বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। মূল গেটের বদলে পাশের গ্যারেজের দরজা দিয়ে প্রবেশ করে সবাই বৈঠকে বসেন।
এই অনানুষ্ঠানিক পরিবেশে হাল্যান্ড মজার ছলে বলেন, ‘বাড়িটা ভালো লেগেছে, তবে আমি এটা ফ্রি চাই।’
বৈঠকে বায়ার্ন কর্মকর্তারা হালান্ডকে বোঝান যে তাকে ঘিরেই দলের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সাজানো হবে। বায়ার্নের এই যুক্তি শুনে রাইওলাও বলেছিলেন, তোমরা ছেলেটাকে রাজি করাতে পেরেছ। এবার টাকার কথায় আসি।
এ ক্ষেত্রে বায়ার্ন মিউনিখ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলোর মতো বিশাল অঙ্কের বেতন দিতে পারছিল না। তবে তারা একটি ব্যতিক্রমী প্রস্তাব দেয়। ভবিষ্যতের রেকর্ড পরিমাণ ট্রান্সফার ফির একটি অংশ হালান্ড এবং তার বাবাকে দেওয়া হবে, এমন প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল বায়ার্ন।
শেষ পর্যন্ত মিনো রাইওলা এবং হাল্যান্ডের বাবা ইউরোপের অন্যান্য ক্লাব, বিশেষ করে ইংল্যান্ড, স্পেন ও ইতালির বড় দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যান।
এরপর বায়ার্নের কাছে হতাশাজনক বার্তা আসে ‘ট্রান্সফার হবে না। খেলার যুক্তিতে তোমরা সেরা ছিলে, কিন্তু আর্থিক দিক থেকে পিছিয়ে গিয়েছিলে।’
সবশেষ ২০২২ সালে হালান্ড যোগ দেন ম্যানচেস্টার সিটিতে। প্রথম মৌসুমেই তিনি একের পর এক রেকর্ড ভেঙেছেন এবং দলকে ট্রেবল জিতিয়েছেন।