ঢাকা সোমবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২৫

ছয় ঘণ্টার ব্যবধানে ইলিশ বোঝাই শতাধিক ট্রলার মৎস্য ঘাটে!

চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৭, ২০২৫, ১০:১০ এএম
ইলিশ বোঝাই ট্রলার মৎস্য ঘাটে। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

ইলিশের পচা গন্ধে বাতাস ভারি হয়ে উঠেছে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার সামরাজ মৎস্যঘাটে। চিরচেনা এ ঘাটে এমন দৃশ্য সচরাচর দেখা না গেলেও ইলিশ শিকারের নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার ছয় ঘণ্টা পরেই ঘটেছে এ ঘটনা। ছয় ঘণ্টার ব্যবধানে শতাধিক সাগরগামী মাছ ধরার ট্রলার ইলিশ বোঝাই করে মৎস্যঘাটে ফিরে আসে।

ভোরের সূর্যের আলো উঁকি দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এসব ট্রলার ঘাটে নোঙর করে। শত শত টন পচা ইলিশের ভাগাড় দেখে সাধারণ ক্রেতারা অবাক হলেও আড়তদার ও পাইকারদের মধ্যে দেখা যায় আনন্দের ছাপ।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা চলাকালে গভীর সাগরে অবস্থান করে ইলিশ শিকার করেন জেলেরা। এই তথ্য অকপটে স্বীকার করেছেন সাগর থেকে ফেরা একাধিক জেলে।

রোববার সকালে সামরাজ মৎস্যঘাটে গিয়ে দেখা যায়, একে একে ইলিশভর্তি ট্রলারগুলো ঘাটে ভিড়ছে। এফবি বিসমিল্লাহ, এফবি আয়েশা-১ ও এফবি হামিম-২ ট্রলার থেকে জেলেরা ঝুড়িভর্তি ইলিশ আড়তে তুলছেন বিক্রির জন্য। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আড়তগুলোতেও ব্যস্ততা বেড়ে যায়। কেউ কেউ ঢাকাসহ অন্যান্য জেলায় সরবরাহের জন্য গাড়িতে মাছ তুলছেন।

‘৪ অক্টোবর নিষেধাজ্ঞা শুরুর আগের রাতেই আমরা বরফ, তেল ও খাদ্যসামগ্রী নিয়ে গভীর সাগরে যাই,’ বলেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেলে। 

তিনি আরও জানান, ‘২২ দিন সাগরে থেকে ইলিশ শিকার করি। এতদিন বরফে রাখায় দুই-তৃতীয়াংশ মাছ পচে গেছে। সেই কারণেই এখন দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।’

এফবি বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি নূর মোহাম্মদ এ বিষয়ে কিছু বলতে চাননি। তবে একতা ফিশ আড়তের ব্যবসায়ী অহিদ হোসেন বলেন, ‘এসব মাছ সাগর থেকে এসেছে। নিষেধাজ্ঞার সময়ও অনেক জেলে সাগরে মাছ ধরেছেন।’

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার অপু বলেন, ‘এমন তথ্য আমার জানা নেই।’

ইলিশ শিকারে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার মাত্র ছয় ঘণ্টার মধ্যে ট্রলারগুলো মৎস্যঘাটে পৌঁছানো কতটা সম্ভব- এমন প্রশ্নে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন বলেন, আপনার কথায় যুক্তি আছে। আমি অফিসারের সঙ্গে কথা বলে জানাব। এ কথা বলেই তিনি ফোন কেটে দেন।