৪০ বছর বয়সেও মাঠ কাঁপাচ্ছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। সৌদি আরবের আল নাসর কিংবা পর্তুগালের জাতীয় দলে এখনও রেকর্ডের পর রেকর্ড গড়ে চলেছেন তিনি। কিন্তু নিজ দেশ পর্তুগালে এখন নতুন করে জেগে উঠেছে এক প্রত্যাশা— রোনালদোকে আবারও স্পোর্টিং লিসবনের সবুজ-সাদা জার্সিতে দেখা।
এই আশার সঞ্চার ঘটিয়েছেন রোনালদোর সাবেক সতীর্থ ও স্পোর্টিং কিংবদন্তি রিকার্দো সা পিন্তো। বর্তমানে ইরানের এক ক্লাবের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করা এই সাবেক পর্তুগিজ তারকা সম্প্রতি রেডিও মার্কাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন এই কথা।
তিনি বলেন, রোনালদো যদি তার ক্যারিয়ারের শেষটা স্পোর্টিংয়ে করেন, তবে সেটা হবে অসাধারণ—সবাইয়ের জন্য এক সুন্দর গল্প। তিনি স্মরণ করেন রোনালদোর কৈশোরকালীন সেই দিনগুলো, যখন দুজন একই ড্রেসিংরুম ভাগ করতেন।
তিনি আরও বলেন, ছোটবেলা থেকেই ওর ভেতরে ছিল অবিশ্বাস্য এক ক্ষুধা ও এনার্জি। আজও সেটি একই রকম। শরীর ও মনকে যেভাবে সে যত্নে রাখে, তা অনন্য।
রোনালদোর পেশাদার ফুটবলার হিসেবে যাত্রা শুরু হয়েছিল স্পোর্টিং লিসবন থেকেই। সেখানেই তিনি প্রথম জার্সি গায়ে তুলেছিলেন, আর সা পিন্তোর পর তিনিই জার্সি নম্বর ৭-এর প্রতীক হয়ে ওঠেন।
সাক্ষাৎকারে সা পিন্তো আরও যোগ করেন, সে ফিরে আসুক, এমনকি অন্য নম্বর নিয়েও আসুক—কোনো সমস্যা নেই। গুরুত্বপূর্ণ হলো তার ফিরে আসা। স্পোর্টিংয়ে ক্যারিয়ার শেষ করা রোনালদো ও সমর্থক—দু’জনের জন্যই দারুণ হবে।
এদিকে, আজও লিসবনের হোসে আলভালাদে স্টেডিয়ামের গেট নাম্বার ৭-এ ঝুলছে রোনালদোর মুখচ্ছবি। হাজারো সমর্থক এখনো স্বপ্ন দেখে—একদিন সেই গেট দিয়েই ফিরবেন তাদের প্রিয় নায়ক, শেষবারের মতো স্পোর্টিংয়ের হয়ে গোল করবেন।
বর্তমানে রোনালদো বিশ্বের সর্বোচ্চ আয় করা ফুটবলার, বার্ষিক আয় প্রায় ২৩৯ মিলিয়ন ইউরো। কিন্তু অর্থ বা রেকর্ডের বাইরেও অনেকেই বিশ্বাস করেন—তার জীবনের শেষ অধ্যায়টি এখনো বাকি আছে, আর সেটি লেখা হবে নিজ দেশ পর্তুগালে, নিজের শিকড় স্পোর্টিং লিসবনে।
যেমনটা সা পিন্তো বলেছেন, ‘কিছু গল্প কেবল একবারই লেখা যায়—এটিও তেমন এক গল্প হবে।’
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন