দেশের দিকে ধেয়ে আসছে বৃষ্টি বলয় ‘ঈশান’। এটি সবচেয়ে সক্রিয় মৌসুমি বৃষ্টি বলয়। এতে আকস্মিক বন্যা, পাহাড়ি ভূমিধস এবং বজ্রপাত হতে পারে।
রোববার (৩ আগস্ট) রাত থেকে এই বৃষ্টি বলয়ের প্রভাব শুরু হবে। রাজশাহী, রংপুর ও ময়মনসিংহ অঞ্চল দিয়ে এটি ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করবে। যা আগামী ৯ আগস্ট রংপুর অঞ্চল দিয়ে দেশ ছাড়বে।
বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিমের পক্ষ থেকে এসব তথ্য জানানো হয়। এটি চলতি বছরের ১০ম বৃষ্টি বলয় বলেও জনায় সংস্থাটি।
অবজারভেশন টিম জানায়, ‘ঈশান’ একটি প্রায় পূর্ণাঙ্গ মৌসুমি বৃষ্টি বলয়, যার প্রভাবে দেশের প্রায় ৯০ শতাংশ এলাকায় কমবেশি বৃষ্টি হবে।
সবচেয়ে বেশি সক্রিয় থাকবে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগ, যেখানে ২৭০–৪০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হতে পারে।
পূর্বাভাস অনুযায়ী, উত্তরাঞ্চলে অতি বন্যাপ্রবণ নিচু এলাকাগুলো প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে রংপুর, সিলেট ও ময়মনসিংহ অঞ্চলে।
বৃষ্টি বলয়ের বিভাগ অনুযায়ী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা (গড়)
- রংপুর: ২৫০–৩৭০ মিমি (গড়ে ৭ দিন)
- ময়মনসিংহ: ২৮০–৪০০ মিমি (গড়ে ৬ দিন)
- সিলেট: ২৭৫–৪০০ মিমি (গড়ে ৬ দিন)
- ঢাকা: ২০০–২৯০ মিমি (গড়ে ৫ দিন)
- রাজশাহী: ১৮০–২৫০ মিমি (গড়ে ৫ দিন)
- চট্টগ্রাম: ১৫০–২৫০ মিমি (গড়ে ৫ দিন)
- বরিশাল: ১০০–১৮০ মিমি (গড়ে ৪ দিন)
- খুলনা: ১০০–১৮০ মিমি (গড়ে ৪ দিন)
ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা
পাহাড় ধস: চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের আশঙ্কা।
বন্যা: রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেটের নিচু অঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।
বজ্রপাত: অপেক্ষাকৃত বেশি হতে পারে।
ঝড়: বড় ঝড়ের সম্ভাবনা নেই, তবে দমকা হাওয়া ও বৃষ্টির সাথে হালকা গুঞ্জন থাকবে।
আবহাওয়ার ধরন
অধিকাংশ সময় আকাশ আংশিক মেঘলা থেকে মেঘাচ্ছন্ন থাকবে। সক্রিয় এলাকায় একটানা ও দীর্ঘস্থায়ী বৃষ্টি হতে পারে।
উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে আবহাওয়া সাধারণত আরামদায়ক থাকবে। তবে দক্ষিণাঞ্চলে কিছুটা ভ্যাপসা গরম অনুভূত হতে পারে।
মেঘের গতিপথ: দক্ষিণ-পশ্চিম থেকে উত্তর-পূর্ব, পরে পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে পরিবর্তিত হতে পারে।
কৃষি ও পানি ব্যবস্থাপনায় সম্ভাব্য প্রভাব: এই বৃষ্টিপাতের মাধ্যমে দেশের প্রায় ৬০–৮০% এলাকার সেচের চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।