বৃহস্পতিবার, ০১ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৯, ২০২৫, ০৮:২৯ এএম

টিউলিপের উচিত দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানো: দ্য টাইমস

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৯, ২০২৫, ০৮:২৯ এএম

টিউলিপের উচিত দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানো: দ্য টাইমস

ছবি, সংগৃহীত

বাংলাদেশের রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ ও লন্ডনে ‘ফ্রি ফ্ল্যাট’ নিয়ে চাপের মুখে পড়েছেন ব্রিটিশ সরকারের আর্থিক সেবাবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক, যার বিরুদ্ধে তদন্তের সিদ্ধান্তও নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

যুক্তরাজ্যে এই তদন্ত চলার মধ্যে সিটি মিনিস্টারের দায়িত্ব থেকে টিউলিপকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে দ্য টাইমস।

দুর্নীতির বিস্তর অভিযোগ ওঠায় তিনি আর দায়িত্ব চালিয়ে যেতে পারেন না বলেও রুপার্ট মারডকের মালিকানায় থাকা ব্রিটিশ সংবাদপত্রটির সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে। টিউলিপকে এ দায়িত্বের জন্য বেছে নেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সমালোচনাও করা হয় এতে।

বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি টিউলিপের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পরই তাকে দায়িত্ব সরিয়ে দেওয়ার দাবি উঠেছে। যদিও দুর্নীতির অভিযোগগুলো বরাবরই অস্বীকার করে আসছেন টিউলিপ।

এ প্রেক্ষাপটে লেবার পার্টির সিটি মিনিস্টার হিসেবে তাকে বাছাই করাই ‘স্বচ্ছ ছিল না’ মন্তব্য করে বুধবার দ্য টাইমস লিখেছে, টিউলিপ এ পদের জন্য একমাত্র বিকল্প ছিলেন না।

তাকে এ দায়িত্বের জন্য বেছে নেওয়ার সমালোচনা করে সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে, স্যার কিয়ার স্টারমার তার উত্তর লন্ডনের প্রতিবেশীদের রাজনৈতিক সুক্ষ্মদর্শিতা ও যোগ্যতা যাই হোক না কেন, গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে তাদের বসিয়ে রেকর্ড করেছেন।

যুক্তরাজ্যের আর্থিক সেবাখাতের ভবিষ্যত কিংবা কীভাবে লন্ডনকে শীর্ষস্থানীয় অর্থনৈতিক কেন্দ্র হিসেবে ধরে রাখা যায়, সে ব্যাপারে হ্যাম্পস্টেড ও হাইগেটের এই এমপি কমই আগ্রহ দেখিয়েছেন।

সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে, যাই হোক যুক্তরাজ্যের আর্থিক সেবা খাতের দায়িত্বে টিউলিপকে বসানোর সিদ্ধান্ত কতটা অবিবেচনাপ্রসূত ছিল, তা সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে সামনে আসা অনেক প্রাসঙ্গিক কারণগুলোতে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। টিউলিপের বিরুদ্ধে তার খালা, বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত কর্তৃত্ববাদী শাসক শেখ হাসিনার সঙ্গে আর্থিক সম্পর্কের ব্যাপারে অনেকগুলো অভিযোগ সামনে এসেছে। তদন্ত কর্মকর্তা টিউলিপের আবাসন বা ‘উপহারের ফ্ল্যাট’ এবং এর সঙ্গে শেখ হাসিনা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের যোগসূত্র খুঁজবেন। তদন্ত চলাকালে তার সরে দাঁড়ানোই উচিত হবে। তবে তদন্তে যদি তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হন তাকে সরকারে ফিরিয়ে আনার পথ খুলে যাবে।

বাংলাদেশের দুর্নীতির সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতা সামনে আসার আগে ২০২৪ সালের অগাস্টে টিউলিপ তার ফ্ল্যাট থেকে ভাড়া পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে সংসদীয় তদন্তের মুখে পড়েছিলেন। সেই তদন্তে তিনি পার হয়ে যান। পরে এ নিয়ে প্রক্রিয়াগত প্রশাসনিক ভুল হয়েছিল বলে ক্ষমা চান।

তবে এরপর জানা যায়, শেখ হাসিনার রাজনৈতিক মিত্রের কাছ থেকে ২০ লাখ পাউন্ডের ফ্ল্যাট উপহার হিসেবে পাওয়ার পর তিনি সেখানে বসবাস করছেন এবং আগের ফ্ল্যাট থেকে ভাড়া নিচ্ছেন।

আরও প্রকাশ পায়, তার পরিবারকে ‘উপহার হিসেবে দেওয়া’ দুটি ফ্ল্যাটে তিনি বসবাস করছিলেন, যার মধ্যে একটি দুই বেডরুমে কিংস ক্রসের ফ্ল্যাট। শেখ হাসিনার মিত্র একজন আবাসন ব্যবসায়ী ওই ফ্ল্যাট টিউলিপকে ‘বিনে পয়সায়’ দিয়ে দেন।

শেখ হাসিনার আরও এক মিত্রের ‘উপহার হিসেবে দেওয়া’ হ্যাম্পস্টেডের একটি ফ্ল্যাটেও থেকেছেন টিউলিপ, যেটি তার বোনকে দেওয়া হয়েছিল। যদিও নিজের সম্পত্তির সঙ্গে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার যোগসূত্রের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন টিউলিপ।

বাংলাদেশে রূপপুর প্রকল্পের দুর্নীতির অভিযোগের পর দুদকের অনুসন্ধান শুরুর বিষয়টিও উঠে এসেছে দ্য টাইমসের সম্পাদকীয়তে।

সংবাদমাধ্যমটি লিখেছে, রাশিয়ার অর্থায়নে পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পটির ৩ দশমিক ৯ বিলিয়ন পাউন্ড আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে টিউলিপ পরিবারের বিরুদ্ধে, যার অনুসন্ধান করছে দুদক। ২০১৩ সালে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ওই প্রকল্পের চুক্তি স্বাক্ষরের অনুষ্ঠানেও ছিলেন টিউলিপ। যদিও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগকে মিথ্যা বলে দাবি করেছে তিনি।

 

আরবি/এস

Link copied!