প্রায় দুই বছর ধরে চলমান জাতিগত সংঘাত ও বিধানসভায় সম্ভাব্য অনাস্থা প্রস্তাবের মুখোমুখি হওয়ার ফলে ভারতের মণিপুর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং পদত্যাগ করেছেন। ইন্ডিয়া টুডে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাজ্যপাল অজয়কুমার ভাল্লার কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই রাজ্যের ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) মধ্যে তার নেতৃত্ব নিয়ে নানা মতবিরোধ দেখা যাচ্ছিল। দলীয় অভ্যন্তরে এবং বাইরের চাপের মুখে পড়েছিলেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী পদত্যাগের আগেই সোমবার রাজ্যের বিধানসভায় অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। এই প্রস্তাবটি বিজেপির বিধায়করা তুলবেন বলে ধারণা করা হচ্ছিল।
সোমবার থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল মণিপুর বিধানসভার বাজেট অধিবেশন, তবে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের ফলে তা বাতিল করা হয়েছে বলে রাজ্যপাল জানিয়েছেন।
পদত্যাগপত্রে বীরেন সিং লিখেছেন, তিনি মণিপুরবাসীর স্বার্থ রক্ষায় যথাসময়ে পদক্ষেপ নিয়েছেন এবং উন্নয়নমূলক কাজ ও প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
মণিপুরের আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষা এবং অবৈধ অভিবাসীদের বিতাড়নের জন্য নীতিমালা প্রণয়ন করার আহ্বান জানিয়ে, মাদক চোরাচালান ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়েছেন বীরেন।
ভারতের স্বাধীনতার পরবর্তী সাত দশকে বীরেন সিংয়ের শাসনামলকে মণিপুরের সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী সময় হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, যেখানে দেড় বছরের বেশি সময় ধরে মেইতেই এবং কুকি জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে আড়াই শতাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটে।
পদত্যাগের আগে, বীরেন সিং দিল্লি গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। তবে বিজেপি ও নাগা পিপলস ফ্রন্ট (এনপিএফ) এর মিলিত ১৪ জন এমএলএ’কে সমর্থন পেতে ব্যর্থ হন, ফলে তিনি সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারান।
-20250424235029.webp)
-20250429141541.webp)
আপনার মতামত লিখুন :